আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ডগ স্কোয়াড থাকে। বিভিন্ন অভিযানে অপরাধীকে ধরতে বা শনাক্ত করতে তাদের ব্যবহার করা হয়। কিন্তু অপরাধীরাও যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে বাঁচতে ডগ স্কোয়াড রাখতে পারে তা কি কেউ ভাবতে পারেন! গত রোববার রাতে এমন ই এক ঘটনা ঘটেছে ভারতের কেরালা রাজ্যের কোত্তায়াম শহরে।
সন্দেহভাজন এক মাদক ব্যবসায়ীর বাসায় অভিযান চালাতে গিয়ে তার ডগ স্কোয়াডের হামলার শিকার হয়েছে পুলিশ। আর এই ফাঁকে সেখান থেকে সটকে পড়েন ওই ব্যবসায়ী। এই হামলায় কোনো পুলিশ আহত না হলেও পালিয়ে যেতে সক্ষম হন মাদক ব্যবসায়ী। এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী পুলিশ জানায় সেই বাসা থেকে ১৭ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছেন তারা।
এই ব্যবসায়ী কুকুরগুলোকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়ে রেখেছিলেন। প্রশিক্ষণের ফলে পুলিশের খাকি রঙের পোশাকে কাউকে দেখলেই কামড়ানোর জন্য তেড়ে যায় সেগুলো। এ নিয়ে কোত্তায়াম জেলার পুলিশ সুপার কে কার্তিক বলেন, ‘ওই ব্যক্তি কুকুরগুলোকে খাকি রঙের পোশাকে কাউকে দেখলে কামড়ানোর প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন। তিনি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছ থেকে কুকুর দেখভালের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন।’
অভিযানে কুকুরের হামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করিনি সেখানে অতগুলো কুকুর থাকবে। আর সেগুলো এতটা হিংস্র হবে। এ কারণে, তল্লাশি করতে গিয়ে আমাদের সমস্যার মুখে পড়তে হয়। ভাগ্য ভালো যে কোনো পুলিশ কর্মকর্তা আহত হননি।’
অভিযান চালানোর সময় ওই বাড়িতে প্রায় ১৩টি কুকুর ছিল। কুকুরগুলো এই ব্যবসায়ীর ছিল না। এগুলোকে বশে আনা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে শেষে পুলিশ জানিয়েছেন, জানা গেছে, ওই ব্যক্তি এলাকায় কুকুর প্রশিক্ষক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তাই অনেকে তাঁদের পোষা কুকুরগুলো তাঁর কাছে রেখে যেতেন। সেই কুকুরেগুলোকে তিনি প্রশিক্ষন দিয়ে নিজের কাজে ব্যবহার করেছেন। এখন এই কুকুরগুলোকে এখন সেগুলোর মালিকদের কাছে ফিরিয়ে দেবে পুলিশ।