সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

বিসিবির পদ থেকে অব্যাহতি প্রসঙ্গে

‘আমিও মানুষ, আমারও আত্মসম্মান আছে’

আপডেট : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:৪০

বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক ব্যাটসম্যান নাফিস ইকবাল কয়েক বছর ধরেই জাতীয় দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছিলেন। গত মঙ্গলবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডেতে ম্যাচের মাঝে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে বাংলাদেশ দলের ড্রেসিংরুম ছেড়ে চলে যান নাফিস ইকবাল। 

বুধবার বিকেলে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের বিশ্বকাপ দল ভারতের উদ্দেশে দেশ ছাড়ে। এরপরই এক ভিডিও বার্তায় বিশ্বকাপ দলে নিজের না থাকা এবং গত কয়েকদিন ধরে চাউর হওয়া গুঞ্জন প্রসঙ্গে কথা বলেন তামিম। ওইদিন রাতেই একটি বেসরকারি টেলিভিশনে প্রচারিত হয় সাকিবের সাক্ষাৎকার।

ওই সাক্ষাৎকারে তামিমের পাশাপাশি তার বড় ভাই নাফিস ইকবালকে টিম ম্যানেজারের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়টিও উঠে আসে। এ সময় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ও ওয়ানডে ম্যাচের আগে নাফিস ইকবালের দল ছেড়ে যাওয়ার সমালোচনা করেন সাকিব। সাক্ষাৎকারটি প্রচারিত হওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন নাফিস।

বাংলাদেশের হয়ে ১১ টেস্ট ও ১৬ ওয়ানডে খেলা নাফিস জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক এবং বিশ্বকাপে বাংলাদেশের স্কোয়াড থেকে বাদ পড়া তামিম ইকবালের বড় ভাই। গতকাল দিবাগত রাত ২টা ১৮ মিনিটে নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক অ্যাকাউন্টে করা এক পোস্টে ড্রেসিংরুম ছেড়ে যাওয়ার সেই ঘটনার ইংরেজি ব্যাখ্যা দেন নাফিস ইকবাল। 

সেটি বাংলায় তুলে ধরা হলো, ‘আমি স্পষ্ট করতে চাই যে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তৃতীয় ওয়ানডের সময় আমার জাতীয় দল ছাড়ার পদক্ষেপটি আবেগের বাইরে ছিল৷ কারণ ২৬ সেপ্টেম্বর তৃতীয় ওয়ানডের দিন সকালে আমাকে জানানো হয়েছিল, আমি বিশ্বকাপে দলের সঙ্গে টিম ম্যানেজার হিসেবে থাকব না। গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগেও এমন ঘটনা ঘটেছিল। আমিও মানুষ এবং অন্য সবার মতো আমারও আত্মসম্মান আছে।

তিনি আরও লিখেন, আমি অবশ্যই বিসিবি থেকে পদত্যাগ করিনি এবং আমার ছোট ভাই তামিম ইকবালের চলমান পরিস্থিতির সঙ্গেও আমার এই পদক্ষেপের কোনো সম্পর্ক ছিল না। আমার মাঠ থেকে বিদায় নেওয়ার ৬/৭ ঘণ্টা পর বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করা হয়।

নাফিস লিখেছেন, আমি সেদিন বোর্ডের সাথে প্রটোকল এবং আচরণবিধি পুরোপুরি বজায় রেখেছি। মাঠে আসার আগে প্রধান কোচ এবং পরে বিসিবির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আমার মতামত জানিয়েছিলাম।

জাতীয় দলের সাবেক এই ক্রিকেটার লিখেন, আমি নিশ্চিত করেছি যে, আমি প্লেয়ার লিস্টে নিয়মমাফিক স্বাক্ষর করেছিলাম এবং নিউজিল্যান্ড সিরিজের কাগজপত্র অ্যাকাউন্টস বিভাগে বুঝিয়ে দিয়েছিলাম। আর বিশ্বকাপের জন্য আমাকে দেওয়া দৈনিক ভাতা ফেরত দেওয়াসহ কোনো কাজ অর্ধেক করা হয়নি।

 

তিনি আরও লিখেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, পরিস্থিতিগুলো কিছু সম্মানের যোগ্য এবং কেউ ঘটনাগুলো সম্পর্কে না জেনে তার মতামত দিতে পারে না। আমি আমার ক্রিকেট ক্যারিয়ারে সৎ ছিলাম এবং এখন বাংলাদেশ জাতীয় দল পরিচালনার অংশ হিসেবে আমি আমার সেরা আউটপুট দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছি এবং তাই করে যাব।

ইত্তেফাক/এনএ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন