বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যু্গ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া সদর-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপি-জামাত বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে চায় না। তারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করতে চায়। অথচ সাংবিধানিক ধারাবাহিক প্রক্রিয়া বজায় রাখতে নির্বাচনের বিকল্প নেই। তাহলে বিএনপি চায় কি? তারা কি অসাংবিধানিক সরকার দেখতে চায়? বিএনপি দাবি করে তারা গনতান্ত্রিক দল। গণতান্ত্রিক দল হলে অগণতান্ত্রিক সরকার কেন চায়?
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে বঙ্গীয় সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদ, ইবি শাখার উদ্যোগে ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন, বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা ও স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি এসব কথা বলেন।
হানিফ বলেন, বিএনপির সমস্যা হলো তারা যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করবে সেখানে তাদের ফল লাভের সম্ভাবনা নেই। বিএনপির নেতা কে? তাদের শীর্ষ দুই নেতার মধ্যে বেগম খালেদা জিয়া যিনি ইতোমধ্যে বেশ কিছু মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে ছিলেন। উনি নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ নেই। এরপর তারেক রহমান, তিনি হত্যা, দুর্নীতি ও মানি লন্ডারিংয়ের মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হয়েছেন। সে নিজেও নির্বাচনে অংশগ্রহণের অযোগ্য।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা ছোট বেলা থেকেই বঙ্গবন্ধুকে অনুসরণ করতেন। তার যে দৃঢ়চেতা সাহসী মনোবল, কঠিন সংগ্রামের মধ্যেও কীভাবে অবিচল থাকতে হয় এই দীক্ষাও তিনি বাবার কাছ থেকেই পেয়েছিলেন।
আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ২০০১-২০০৬ সালে যখন বিএনপি সরকার ক্ষমতায় ছিল তখন উন্নয়ন প্রকল্পগুলো হাওয়া ভবন থেকে নিয়ন্ত্রণ করতো তারেক রহমান। সবই হতো তার নেতৃত্বে। তিনি ঐ সময় প্রমাণ করেছিলেন যে তার মধ্যে কী ভয়ংকর খারাপ মানসিকতা। দুর্নীতি করেও ক্ষান্ত হননি। প্রতিপক্ষকে হামলার মাধ্যমে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার মানসিকতা ছিল তার।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে রাষ্ট্র যন্ত্র ব্যবহার করে গ্রেনেড হামলা করানো হয়েছিল জঙ্গিদের দিয়ে। লক্ষ্য শেখ হাসিনা সহ আওয়ামী লীগের উচ্চ পর্যায়কে হত্যা করে নিশ্চিহ্ন করে দিতে হবে। তাহলে তারা বাকি জীবন রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকতে পারবে। এটা কোন রাজনৈতিক মানসিকতা হতে পারে না, এটা সন্ত্রাসী মানসিকতা। দেশকে কিভাবে সন্ত্রাসী ও জঙ্গি রাষ্ট্র বানানো যায় সেটা তারেক রহমান দেখিয়েছিলেন। বাংলাদেশের মানুষ কি তার দিকে আর মুখ ফিরিয়ে তাকাবে? এখন সেই কারণে বিএনপি নির্বাচন করতে চায় না বরং নির্বাচন বানচাল করতে চায়। ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে, আন্তর্জাতিকভাবে লবিস্ট নিয়োগ করে সরকারকে চাপ প্রয়োগের চেষ্টা চলছে।
এদিকে আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইবি উপাচার্য প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম। বঙ্গীয় সাহিত্য-সংস্কৃতি সংসদের সভাপতি প্রফেসর ড. মো. মামুনুর রহমানের সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন, সংসদের কেন্দ্রীয় সভাপতি পর্ষদের সদস্য প্রফেসর ড. এম. শাহিনুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম।
আরও উপস্থিত ছিলেন প্রক্টর প্রফেসর ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ, ছাত্র উপদেষ্টা প্রফেসর ড. শেলিনা নাসরীন, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান, শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত ও সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়সহ অনেকে।