বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধাদানকারী ব্যক্তিদের ওপর গত ২২ সেপ্টেম্বর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশের রাজনীতিক মহলে বিষয়টি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে সাধারণ মানুষ কী ভাবছেন? এ বিষয়ে কথা হয় চা বিক্রেতা মো. বাচ্চু মিয়া-
ইত্তেফাক: মার্কিন ভিসানীতি কী বাংলাদেশের রাজনীতিতে ইতিবাচক বার্তা নিয়ে আসবে?
বাচ্চু: আমরা হলাম আদার বেপারী। জাহাজের খবর নিয়ে আমাদের কাজ কী? আমাদের সমস্যা এখন একটাই, জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। মানুষজন এখন সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে। আমরা সাধারণ মানুষরা বিশেষ করে মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্তরা কোনো রকমে দুই বেলা খেয়েপরে বেঁচে আছি। এই অবস্থা চলতে থাকলে বাংলাদেশের সামনে বিপদ নেমে আসবে।
ইত্তেফাক: বিপদ বলতে কী বোঝাচ্ছেন?
বাচ্চু: যেমন আপনি শুরুতেই যে কথা উঠিয়েছেন, ভিসানীতি। ভিসানীতির কারণে বাংলাদেশের রাজনীতিতে বড় একটি সুবিধাবাদী অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ভিসানীতির কারণে অনেক দলের নেতা-কর্মীরা ফেঁসে যেতে পারেন।
ইত্তেফাক: কারা ফেঁসে যেতে পারেন?
বাচ্চু: ওই যে যারা জ্বালাও-পোড়াও করে, বিরোধী দলের নেতা-কর্মীরা।
ইত্তেফাক: আপনার কি মনে হয় যে ভিসানীতি জাতীয় নির্বাচনকে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ করতে দেওয়া হয়েছে?
বাচ্চু: যুক্তরাষ্ট্র তো চায় যে বাংলাদেশের নির্বাচন সুষ্ঠু হোক। কিন্তু বাংলাদেশের সরকারকে তো তা চাইতে হবে। তারা তো চাইছে না। আর বিএনপি যে দাবি করে আসছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি, সেই দাবিও তো মানছে না সরকার।
ইত্তেফাক: যুক্তরাষ্ট্রের চাপের কাছে কী সরকার নতজানু হবে?
বাচ্চু: কোনো সম্ভাবনা নেই। কারণ এই সরকার কারও কথা শোনে না। সরকার নিজের যা ইচ্ছা হয়, তাই করতে থাকে।
ইত্তেফাক: আপনি বলেছিলেন, ভিসানীতির কারণে বাংলাদেশের রাজনীতিতে বড় একটি সুবিধাবাদী অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সেই সুবিধাবাদী অংশ বলতে কাদেরকে বুঝিয়েছেন?
বাচ্চু: এটা বুঝছেন না? সুবিধাবাদী অংশ কারা? বর্তমানে যারা ক্ষমতায় আছেন, তারাই তো সুবিধাবাদী। ভিসানীতির কারণে তাদের লোকসান তো হবেই। সেই সঙ্গে জনগণেরও লোকসান হবে।
ইত্তেফাক: ইত্তেফাককে সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
বাচ্চু: আপনাকেও ধন্যবাদ।