মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

পুতিন ও হামাসের চালেঞ্জ মোকাবিলায় পিছু হটবে না যুক্তরাষ্ট্র

আপডেট : ২০ নভেম্বর ২০২৩, ০৫:৩০

বিশ্ব আজ পরিবর্তনের প্রান্তবিন্দুতে অবস্থান করছে। ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী প্রজন্মের জন্য কী ধরনের ভবিষ্যত্ অপেক্ষা করছে, তা-ই বিবেচ্য। কেমন হতে চলেছে আমাদের ভবিষ্যত্ পৃথিবী? কী ধরনের দিকনির্দেশনা অনুসরণ করা উচিত আমাদের? হামাস যে ধরনের সহিংসতা ছড়িয়েছে, তা কি অস্বীকার করার মতো? ইসরাইলি ও ফিলিস্তিনিদের ‘একদিন শান্তিতে পাশাপাশি বসবাস করা’ তথা দুই অঞ্চলের জনগণের জন্য দুটি পৃথক রাষ্ট্র থাকার বিষয়েরই-বা কী হবে? আমরা কি ভ্লাদিমির পুতিনকে তার আগ্রাসনের জন্য দায়ী করব না? সব থেকে বড় প্রশ্ন, আমরা কি সুনিশ্চিত ভবিষ্যতের জন্য আমাদের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিকে অনুসরণ করব, নাকি যারা আমাদের মূল্যবোধকে উপেক্ষার মাধ্যমে বিভক্ত বিশ্বকে ক্রমাগত বিপজ্জনক জায়গায় টেনে নিয়ে যাচ্ছে, তা ঠেকানোর চেষ্টা করব?

পুতিন ও হামাস প্রতিবেশীদের গণতন্ত্রকে মানচিত্র থেকে মুছে ফেলার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। বৃহত্তর আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও একীকরণের পতন ঘটিয়ে বিশৃঙ্খলার সুযোগ নিতে চায় উভয়েই। আমেরিকা তা হতে দিতে পারে না এবং হতে দেবেও না। আমাদের (আমেরিকার) নিজস্ব জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থের জন্য তো বটেই, গোটা বিশ্বের মঙ্গলের জন্যই পুতিন ও হামাসকে প্রতিহত করতে হবে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অপরিহার্য রাষ্ট্র। আমরা মিত্র ও অংশীদারদের সঙ্গে নিয়ে চলি কেবল আগ্রাসিদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে, একটি উজ্জ্বল এবং আরো শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যেক এগিয়ে নিতে। উদ্ভূত নানাবিধ সমস্যা সমাধানের জন্য বিশ্ব আমাদের দিকেই চেয়ে থাকে। নেতৃত্বের দায়িত্ব এটাই এবং এই নেতৃত্বের প্রশ্নে আমেরিকা সর্বদাই সংকল্পবদ্ধ। কারণ, আমরা ভালো করেই জানি—যদি আজকের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা না করে দূরে ঠেলে দিই, তাহলে সংঘাতের ঝুঁকি ছড়িয়ে পড়বে এবং তা মোকাবিলায় আরো বেশি মূল্য চোকাতে হবে। সুতরাং, আমরা তা হতে দেব না কখনোই।

এই প্রত্যয় থেকেই ইউক্রেনের জনগণকে সমর্থন জানিয়ে আসছি আমরা। পুতিনের নৃশংস যুদ্ধের বিপরীতে নিজের স্বাধীনতা রক্ষা করে চলেছে কিয়েভ। বিগত শতাব্দীর দু-দুটি বিশ্বযুদ্ধ আমাদের দেখিয়েছে, আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউরোপ পালটা জবাব না দিলে বিশ্বব্যাপী সংকটের আগুন জ্বলে ওঠে দাউ দাউ করে। আমেরিকাকে সরাসরি ছুঁয়ে যায় এটা। এই অর্থে, ইউক্রেনের প্রতি আমাদের যে সাহায্য-সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি, তা আমাদের নিজের নিরাপত্তার জন্যই বিনিয়োগের একটি অংশ। এই বিনিয়োগের ফলে সামনের দিনগুলোর বৃহত্তর সংঘাত প্রতিরোধ করা সহজতর হয়ে উঠবে।

স্বাধীনতা ও স্বদেশ রক্ষায় সাহসী ইউক্রেনীয়দের আমরা সমর্থন দিয়ে আসছি বটে, কিন্তু মার্কিন সেনারা এই যুদ্ধ থেকে দূরে অবস্থান করছে। পুতিনের ‘বিজয় অভিযান’ রুখতে আমরা কিয়েভকে অস্ত্র ও অর্থনৈতিক সহায়তা দিচ্ছি এ কারণে যে, সংঘাত যেন আরো বেশি ছড়িয়ে না পড়ে। এই কাজ একা করছে না যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেনের আত্মরক্ষার জন্য যা প্রয়োজন, তা নিশ্চিত করতে ৫০টিরও বেশি দেশ আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে। আরো শক্তিশালী এবং যে কোনো সময়ের চেয়ে ঐক্যবদ্ধ ন্যাটো গড়ে তুলেছি আমরা, যা মিত্রদের নিরাপত্তাই কেবল বাড়ায়নি, বরং স্পষ্টভাবে এটাও নিশ্চিত করেছে, রাশিয়ার আগ্রাসন ঠেকাতে ন্যাটো-অঞ্চলের প্রতি ইঞ্চি মাটি রক্ষা করার ক্ষমতা রয়েছে আমাদের। ইউক্রেনকে সমর্থন এবং পুতিনকে জবাবদিহি করার প্রশ্নে আমাদের পাশে আছে এশিয়ার মিত্ররাও। তারাও বুঝছে, ইউরোপ ও ইন্দো-প্যাসিফিকের স্থিতিশীলতা নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত। ইতিহাসের পাতায় পাতায় আমরা দেখে আসছি, মধ্যপ্রাচ্যে কোনো সংঘাত বাধলে তা কীভাবে সারা বিশ্বের জন্য করুণ পরিণতি ডেকে আনে।

আমরা ইসরাইলি জনগণের কাঁধে শক্তভাবে হাত রেখেছি। কারণ, তারা হত্যাকারী হামাসের নিহিলিজমের (এমন এক ধর্মীয় বিশ্বাস, যা নৈতিক নীতি দূরে ঠেলে দিয়ে জীবনকে অর্থহীন মনে করে) হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করার চেষ্টা করছে। গত ৭ অক্টোবর ৩৫ জন মার্কিন নাগরিকসহ ১ হাজার ২০০ মানুষকে হত্যা করে হামাস। হলোকাস্ট ট্র্যাজেডির পর ইহুদি জনগণের ওপর চালানো সবচেয়ে বাজে নৃশংসতার দৃষ্টান্ত এটা। সবকিছুকে ছাপিয়ে বড় বিষয়, হামাসের হাতে ২০০ জনের বেশি জিম্মি ব্যক্তির পরিবার চরম উদ্বিগ্ন সময় পার করছে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে। জিম্মির শিকার শিশু ও আমেরিকার নাগরিকদের ভাগ্যে কী ঘটেছে তাও অজানা—বেঁচে আছে নাকি মৃত, তা জানার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে জিম্মি লোকজনের স্বজনেরা।

যখন এই লেখা লিখছি, তখনো আমার টিম এবং আমি ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজ করে চলেছি জিম্মিদের মুক্ত করার জন্য। সাধ্যের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করছি। অন্যদিকে, হামাস নতুন করে ঘোষণা দিয়ে বসে আছে, ৭ অক্টোবরের পুনরাবৃত্তির চেষ্টা করবে তারা। এই গোষ্ঠী খুব স্পষ্ট করে বলেছে, এই প্রবণতা থামাবে না তারা।

‘একটি নিজস্ব রাষ্ট্র’ এবং হামাস-মুক্ত ভবিষ্যত্ ফিলিস্তিনি জনগণের অবশ্যই প্রাপ্য। গাজার মর্মান্তিক বাস্তবতা এবং শিশুসহ হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু দেখে অনেকের মতো হূদয় ভেঙে যাচ্ছে আমারও। বাবা-মাকে হারিয়ে কাঁদছে ফিলিস্তিনি শিশুরা। পিতা-মাতারা তাদের সন্তানদের হাত কিংবা পায়ে তাদের নাম লিখে রাখছেন, যাতে খারাপ কিছু ঘটলে সহজেই তাদের শনাক্ত করা যায়। আঘাতের শিকার প্রতিটি মূল্যবান জীবন বাঁচানোর সর্বোচ্চ মরিয়া চেষ্টা করে যাচ্ছেন ফিলিস্তিনি নার্স ও ডাক্তাররা—ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা ছাড়াই। নিরপরাধ ফিলিস্তিনির জীবন হারানোর এক একটি ট্র্যাজিক হিস্ট্রি চরম কষ্টদায়ক বটে।

শুধু আজকের যুদ্ধ বন্ধই নয়, আমাদের আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত যুদ্ধ চিরতরে শেষ করে দেওয়া। সহিংসতার বিরতিহীন চক্র ভেঙে দেওয়া। গাজা ও মধ্যপ্রাচ্যে এমন শক্তিশালী কিছু তৈরি করা, যাতে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি না ঘটে।

৭ অক্টোবরের ঠিক কয়েক সপ্তাহ আগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে নিউ ইয়র্কে দেখা করি আমি। তার সঙ্গে কথোপকথনের মূল বিষয় জুড়ে ছিল এমন এক প্রতিশ্রুতি, যা ইসরাইল ও ফিলিস্তিনি উভয়কে বৃহত্তর মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে আরো ভালোভাবে একীভূত করার প্রয়াস। এটা এমন এক প্রতিশ্রুতি, যা উদ্ভাবনী অর্থনৈতিক করিডরের আওতায় সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, জর্ডান ও ইসরাইলসহ ভারতকে ইউরোপের সঙ্গে যুক্ত করবে। সেপ্টেম্বরের শুরুতে ভারতে অনুষ্ঠিত গ্রুব অব ২০ (জি-২০) শীর্ষ সম্মেলনে অংশীদারদের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে এর রূপরেখা ঘোষণা করেছিলাম আমি। মধ্যপ্রাচ্যের মাটিতে তার বাস্তবায়ন নিয়ে কাজ চলমান রয়েছে।

এমন এক ভবিষ্যত্ নির্মাণে কাজ করা হচ্ছে, যেখানে হামাসের সহিংসতা ও ঘৃণা ছড়ানোর মতো কোনো বিষয়ের স্থান নেই। আমি বিশ্বাস করি, সেই সুনিশ্চিত ভবিষ্যতের আশাকে ধ্বংস করার চেষ্টা থেকেই হামাস চলমান সংকট সৃষ্টির পথ ধরেছে। এটা অনেকটাই স্পষ্ট, ইসরাইল ও ফিলিস্তিন উভয় অঞ্চলের জনগণের টেকসই নিরাপত্তা নিশ্চিত করার একমাত্র উপায় হল ‘দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধান’। এই মুহূর্তে মনে হচ্ছে, চলমান সংকট একে আরো জরুরি করে তুলেছে। একটি দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধান—যেখানে স্বাধীনতা, সুযোগ ও মর্যাদার প্রশ্নে সমান সুযোগ নিয়ে পাশাপাশি বসবাস করবে দুই অঞ্চলের মানুষ। শান্তির রাস্তাই হবে এখানকার একমাত্র পথ। এই লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য ইসরাইলি ও ফিলিস্তিনিদের পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্র ও অংশীদারদের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি আসতে হবে অবশ্যই। আর সেই কাজ শুরু করার সময় এটাই।

এই লক্ষ্য পূরণে তথা সংকট উত্তরণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কিছু মৌলিক নীতির প্রস্তাব করছে। এক্ষেত্রে গাজাকে আর কখনোই সন্ত্রাসবাদের প্ল্যাটফরম হিসেবে ব্যবহার করাটা ঠিক হবে না। পাশাপাশি গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করাটাও উচিত হবে না। গাজার পুনর্দখল, অবরোধ কিংবা এই ভূখণ্ড সংকুচিত করা যাবে না। সবচেয়ে বড় কথা, এই যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ফিলিস্তিনি জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার কথা মাথায় রেখেই সংকট-পরবর্তী গাজা শাসন পরিচালিত হতে হবে।

আমরা শান্তির জন্য চেষ্টা করছি। গাজা ও পশ্চিম তীরকে পুনরুজ্জীবিত ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে একটি একক শাসনকাঠামোর অধীনে পুনরুদ্ধার করা দরকার। আমরা সে ধরনের দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের লক্ষ্যকে সামনে রেখে কাজ করছি। ইসরাইলের নেতাদের আমি জোর দিয়ে বলেছি, পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ওপর চরমপন্থি-সহিংসতা বন্ধ করতে হবে। যারা সহিংসতা করছে, তাদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। পশ্চিম তীরে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলাকারী চরমপন্থিদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারিসহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত। সামনের দিনগুলোতে আরো শান্তিপূর্ণ, সমন্বিত ও সমৃদ্ধ মধ্যপ্রাচ্য প্রতিষ্ঠায় দ্বিগুণ উত্সাহ নিয়ে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র। আমরা এমন এক অঞ্চল গড়ার কথা ভাবছি, যেখানে ৭ অক্টোবরের মতো আর কোনো দিন কল্পনাতেও আনার সুযোগ থাকবে না।

শুরু থেকেই আমার প্রশাসন আন্তর্জাতিক মানবিক আইনকে সম্মান করা, নিরীহ মানুষের প্রাণহানি কমিয়ে আনা এবং বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছে। ইসরাইলে হামাসের আক্রমণের পর গাজায় সাহায্য বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং এর ফলে খাদ্য, পানি ও ওষুধের মজুত দ্রুত গতিতে হ্রাস পায়। গাজাবাসীর প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা পুনরায় চালুর স্বার্থে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য ইসরাইল ও মিশরের নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছি আমি। এর ঠিক কিছু দিনের মধ্যেই প্রয়োজনীয় সাহায্য নিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করতে পেরেছে ট্রাকগুলো। তবে বাস্তবতা হলো, যতক্ষণ পর্যন্ত হামাস তার ধ্বংসের মতাদর্শকে আঁকড়ে থাকবে, ততক্ষণ যুদ্ধবিরতির মধ্য দিয়ে  শান্তি আসবে না।

ইউক্রেন, ইসরাইল, গাজাসহ আরো অনেক অঞ্চলে চলমান সহিংসতা ও দুর্ভোগের মুহূর্তে দাঁড়িয়ে এমনটা কল্পনা করা আসলেই কঠিন যে, ভিন্ন কিছু সম্ভব। তবে ইতিহাস থেকে পাওয়া শিক্ষা কখনই ভুলে গেলে চলবে না। ইতিহাস আমাদের বারবার দেখিয়েছে, বিশাল ট্র্যাজেডি ও অভ্যুত্থানের পরও কীভাবে ঘুরে দাঁড়ানো যায়, অভূতপূর্ব অগ্রগতি সাধন করা যায়। সুতরাং, আশা ছাড়া যাবে না। আরো স্বাধীনচেতা হতে হবে। ক্রোধ কমাতে হবে। হানাহানি, সংঘাত যুদ্ধের রাস্তা এড়িয়ে চলতে হবে। লক্ষ্যে পৌঁছাতে কোনোভাবেই সংকল্প হারানো যাবে না। সত্যি বলতে, রাজনৈতিক সাহস আজকের দিনে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ এবং সর্বোপরি বিশ্ব জুড়ে ঠিক সেই কৌশল ধরে এগোতে হবে, যার নেতৃত্বে থাকবে আমার প্রশাসন। সম্মিলিতভাবে সেই ভবিষ্যতের দিকে আমাদের যাত্রা হওয়া উচিত, যা উন্নয়ন-অগ্রগতির পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বকে আরো বেশি নিরাপদ করে তুলবে।

লেখক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট

দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট থেকে অনুবাদ: সুমৃত খান সুজন

 

ইত্তেফাক/এমএএম

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন