রাজশাহীর বাঘায় সন্তানের পিতৃপরিচয় ও স্ত্রীর মর্যাদা চাওয়ায় ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। বুধবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের তুলশিপুর (হরিপুর) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, তুলশিপুর গ্রামের লাল মোহাম্মদের ছেলে মোহাম্মদ কাফির সঙ্গে চারঘাট উপজেলার পাটিয়া কান্দি গ্রামের সামসুদ্দিন শেখের মেয়ে মমেনা খাতুনের পরিচয় হয়। ধীরে ধীরে তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে মমেনা তার প্রথম স্বামীকে তালাক দেন। পরে ২০২১ সালের ১ মে গোপনে কাজী অফিসে গিয়ে ১০ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে বিয়ে করেন।
বিয়ের পর মমেনা খাতুন অন্তঃসত্ত্বা হন। এর কিছুদিন পরে স্বামী কাফি তার স্ত্রীর বাবার কাছে ৩ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। যৌতুক দিতে না পারায় নির্যাতন করলে মমেনা বেগম বাদী হয়ে রাজশাহীর আদালতে তার স্বামীর বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।
ভুক্তভোগী মমেনা খাতুন জানান, বুধবার দুপুরে ১৩ মাসের সন্তান আবদুল মোত্তালেবকে কোলে নিয়ে স্ত্রীর মর্যাদা ও সন্তানের পিতৃপরিচয়ের দাবি নিয়ে তিনি স্বামীর বাড়িতে যান। এ সময় স্বামী মোহাম্মদ কাফি ঘাড়ধাক্কা দিয়ে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন।
অভিযুক্ত স্বামী মোহাম্মদ কাফি দাবি করেন, ১০ লাখ টাকার জাল কাবিননামা তৈরি করে আমার নামে আদালতে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। আমিও বাদী হয়ে জাল কাবিননামার বিরুদ্ধে রাজশাহীর আদালতে ২০২২ সালের ১৪ আগস্ট একটি মামলা করেছি। মামলা আদালতে চলমান রয়েছে। তারপরও একটি সন্তান কোলে নিয়ে সে আমার বাড়িতে এসেছিল। আমি বলেছি, যা হওয়ার আদালতে হবে। একপর্যায় আমি তাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছি।
মনিগ্রাম ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য লেলিন উদ্দিন মতিন বলেন, উভয় পক্ষের মামলা আদালতে চলমান। তবে মেয়েটি কোলে একটি সন্তান নিয়ে বুধবার তার স্বামীর বাড়িতে এসেছিল। কিন্তু তার পরিবারের লোকজন ওই নারীকে বাড়িতে প্রবেশ করতে দেয়নি।