৭ জানুয়ারী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। রাজশাহী-৬ (চারঘাট-বাঘা) চতুর্থবারের মতো আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী শাহরিয়ার আলম। বিগত সময়ে যারা তার বিপক্ষে ছিলো, এবারও তারাই রয়েছে। তবে দৃশ্যমান উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় এসব বিরোধ কোনো কাজেই আসবে না বলে মন্তব্য করেছেন তৃণমূল আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
জানা গেছে, গত ৩০ নভেম্বর দ্বাদশ জার্তীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিলো। ঐ দিন মোট ৯ জন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। এদিক থেকে মনোনয়ন সঠিক হিসাবে বিবেচিত হলে ৩ জন সতন্ত্র এবং ৬ জন দলীয় প্রার্থী হিসাবে ভোট করবেন। এসব প্রার্থীদের মধ্যে দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হয়েছেন তিনবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও দুই বারের সফল পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
এদিকে তার বিপরীতে যারা প্রার্থী হয়েছেন তার মধ্যে একই দল থেকে দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হওয়ার অভিমানে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ফরম জমা দিয়ে ভোট যুদ্ধে নেমেছেন চারঘাট উপজেলার বাসিন্দা ও ২০০০ সালের উপনির্বাচনে জয়ী রায়হানুল হক রায়হান। তার সঙ্গে এবার এলাকায় গণসংযোগসহ প্রকাশ্যে ভোট চাইছেন বাঘা পৌর মেয়র আক্কাস আলী ও বাঘা উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লায়েব উদ্দিন লাভলুর কর্মী-সমর্থকরা।
দলীয় লোকজন জানান, এই আক্কাস আলী ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে রায়হানুল হক রায়হানের বিপরীতে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে বিএনপির বর্ষীয়ান নেতা কবির হোসেনকে পাশ করিয়ে ছিলেন।
বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল, আড়ানী পৌর মেয়র মুক্তার আলী এবং চারঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ফকরুল ইসলাম ও চারঘাট পৌর মেয়র একরামুল হক বলেন, শাহরিয়ার আলম ২০০৮ সাল থেকে চারঘাট-বাঘায় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রথম (বিজয়ী) নৌকার মাঝি। এর আগে যারা নৌকা প্রতীক নিয়ে এলাকায় এসেছেন তারা কখনোই পাশ করতে পারেননি। ষড়যন্ত্রকারীরা নিজেদের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান নেওয়াসহ মনোনয়ন বঞ্চত বিদ্রোহীপ্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন। তবে তাতে কোনো লাভ হবে না। শাহরিয়ার আলম পূর্বের যেকোনো সময়ের চেয়ে এবার স্বচ্ছ ইমেজে রয়েছে। কারণ বিগত ১৫ বছরে এলাকায় নিজস্ব অনুদানসহ সরকারি প্রচেষ্টায় তিনি যে পরিমাণ দৃশ্যমান উন্নয়ন করেছেন তার ফলশ্রুতিতে এ অঞ্চলের মানুষ আবারও তাকেই বিজয়ী করবেন।
এ বিষয়ে রায়হানুল হকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া সম্ভব হয়নি। তবে তার এক কর্মী জানান, এবার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও জামায়াত ইসলামী সংগঠন ভোট বর্জন করছে। তারা যদি ভোট কেন্দ্রে আসে তাহলে একটা হিসাব-নিকাশ রয়েছে। এ কারণে আমাদের নেতা আবারও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।