দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে প্রযুক্তিনির্ভর ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার প্রত্যয়ে আওয়ামী লীগের ইশতেহার ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের এবারের ইশতেহারে স্লোগান- ‘স্মার্ট বাংলাদেশ: উন্নয়ন দৃশ্যমান, বাড়বে এবার কর্মসংস্থান’। স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি স্তম্ভ। এগুলো হলো-স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট ইকোনমি ও স্মার্ট গভর্নমেন্ট।
স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনকে গুরুত্ব দিয়ে দক্ষতা উন্নয়নের পাশাপাশি দেশে-বিদেশে তরুণ-তরুণীদের কাজের সুযোগ বাড়বে। প্রথাগত কর্মসংস্থানের ধারণা থেকে বেরিয়ে তরুণ সমাজ যেন উদ্ভাবনী উদ্যোগ, নিজের ও সমাজের জন্য পরিবর্তনে নেতৃত্ব দিতে পারে, সে ধরনের প্রণোদনার সঞ্চার করতে চায় আওয়ামীলীগ। তাই জনগণের রায় এ ক্ষমতায় আসলে সেই অনুকূল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে দেবে সরকার।
২০১১ সালে ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী জনসংখ্যা ১৮ শতাংশ ছিল। ২০২২ সালের আদম শুমারিতে দেখা যাচ্ছে ওই বয়সের জনসংখ্যার হার ১৯ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। অর্থাৎ আমাদের তরুণ জনসংখ্যা এখনো বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই অদম্য তরুন সমাজ আমাদের শক্তির উৎস।
পৃথিবীতে তরুণ সমাজই নতুন কিছু সৃষ্টিতে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করে আসছে সেই পৃথিবীর জন্মলগ্ন থেকে। তরুণরাই দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি। অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে ও উন্নয়নের দৌড়ে এগিয়ে থাকতে তরুন সমাজের কর্মসংস্থান ও দক্ষতা উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই।
ইশতেহার এ দেশের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ তরুন সমাজের কর্মসংস্থান এর প্রতিশ্রুতি এবং তার বাস্তবায়ন এই সাধারণ তরুণদের মানবসম্পদে রুপান্তর করতে পারলেই দেশের সার্বিক উন্নয়ন আরও ত্বরান্বিত হবে।
লেখক: ব্যারিস্টার ও অধিকার কর্মী