ভারত বিরোধী অবস্থানের কারণে নিজ দেশেই সমালোচনার শিকার হয়েছেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু। এই নীতির কারণে দ্বীপ রাষ্ট্রটির উন্নয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে দেশটি দুটি প্রধান বিরোধী দল সতর্ক করেছে।
এদিকে মালদ্বীপের বন্দরে নোঙর করতে যাচ্ছে একটি চীনা জাহাজ।
মালদ্বীপের ডেমোক্রেটিক পার্টি (এমডিপি) ও ডেমোক্র্যাটরা দুই প্রতিবেশীর টানাপোড়েন এবং চীনের প্রতি মালদ্বীপের সখ্যতা, ভারত মহাসাগর অঞ্চলে একটি সম্ভাব্য গুরুত্বপূর্ণ ভূ-রাজনৈতিক ও সামরিক পরিবর্তনের মধ্যে এই সতর্কতা জানিয়েছে।
রাষ্ট্রপতি মোহামেদ মুইজ্জু ২০২৩ সালের নির্বাচনে ভারত-বিরোধী নীতির কারণে জিতেছিলেন। তার পূর্বসূরীরা ছিলেন ভারতপন্থী।
দুটি বিরোধী দল ভারতকে ‘সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী মিত্র’ বলে আখ্যায়িত করেছে। তারা বলেছে, ‘এমডিপি ও ডেমোক্র্যাট উভয় দলই বিশ্বাস করে যেকোনও উন্নয়ন সহযোগীকে বিচ্ছিন্ন করা দেশের দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হবে, বিশেষ করে দেশের সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী মিত্রের ক্ষেত্রে।’
‘বিদেশি নীতির দিকনির্দেশনা’ সম্পর্কে তাদের বক্তব্য হলো, মালদ্বীপ সরকারকে অবশ্যই সমস্ত উন্নয়ন অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করতে হবে যেমনটি এটি ঐতিহ্যগতভাবে করেছে। ভারত মহাসাগরে স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা মালদ্বীপের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার জন্য অত্যাবশ্যক।
মালদ্বীপের সংসদের ৮৭টি আসনের মধ্যে বিরোধী দল দুইটি যৌথভাবে ৫৫টি আসন পেয়েছে।
এমডিপির চেয়ারপারসন ফাইয়াজ ইসমাইল, সংসদের ডেপুটি স্পিকার আহমেদ সেলিম, ডেমোক্র্যাটস প্রধান এমপি হাসান লতিফ ও সংসদীয় গ্রুপের নেতা আলী আজিম এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন।