সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বোরো ধান পরিচর্যার কাজ শুরু করেছেন কৃষকরা। বিশেষ করে, যেসব ক্ষেতে রবিশস্যের আবাদ করা হয়নি, আগেই ধানের চারা রোপন করা হয়েছে। এসব ক্ষেতের ধান সবুজ হয়ে উঠেছে।
রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) দেশীগ্রাম ইউনিয়নের গুড়পিপুল গ্রাম এলাকার বিস্তীর্ণ মাঠে কয়েকজন কৃষি শ্রমিককে ধান ক্ষেতে নিড়ানি দিতে দেখা যায়।
এদিকে উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্র জানিয়েছেন, চলতি বোরো মৌসুমে ব্রি-ধান ৮৯, ৯২, ১০০, ৮১, ২৯, বিনা ২৫, ১০২ ও ১০৪ জাতের ধানের আবাদ করছেন স্থানীয় কৃষকরা। তবে ব্রি-ধান ৮৯ চাষাবাদ বেশি হচ্ছে। ১০৪ জাত মূলত বাশমতি চালের ধান। তাড়াশে এবারেই প্রথম বাশমতি চালের ধানের আবাদ হচ্ছে পরিক্ষামূলকভাবে। রবিশস্য মৌসুমে ১০ হাজার ৩১২ হেক্টর ক্ষেতে সরিষার আবাদ করা হয়েছে। এসব ক্ষেতের বোরো আবাদ ১৫ থেকে ২০ দিন নাবিতে হবে।
দেশীগ্রাম ইউনিয়নের গুড়পিপুল গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম, তালম ইউনিয়নের গুল্টা গ্রামের কৃষক আব্দুল লতিফ ও আব্দুল হামিদ বলেন, আমাদের উঁচু এলাকাতে সাধারণত সরিষার আবাদ হয় না। সারা বছরে তিনবার ধানের আবাদ করি। আমরাই আগে বোরো ধান রোপন করি। এখন কৃষি শ্রমিক নিয়ে নিড়ানি দিয়ে ক্ষেতের আগাছা তুলে দেওয়া হচ্ছে।
এ উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠে মাঠে দেখা গেছে, অনেক কৃষক এখনো ক্ষেত প্রস্তুত করছেন বোরো ধান রোপনের জন্য। কেউ ধানের চারা তুলছেন। আবার অনেকে ক্ষেতে চারা রোপন করছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ২৪ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। আগের দুই বছরও ধানের আবাদ করে কৃষকরা লাভবান হয়েছেন।