উত্তরের নীলফামারীর সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে সেবার পরিধি বেড়েছে। দূর দূরান্ত থেকে লোকজন প্রতিনিয়ত চিকিৎসার জন্য আসছেন। কিন্ত নেই প্রয়োজনীয় চিকিৎসক। জনবল সংকটে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও কর্মরতরা।
জানা যায়, এই হাসপাতালটি ৪ লাখ মানুষের চিকিৎসার ভরসাস্থল হয়ে উঠেছে। আউটডোরে প্রতিদিন গড়ে দেড় হাজার রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন। এর মধ্যে নারী রোগীর সংখ্যা শতকরা ৮০ ভাগ। হাসপাতালটি ১০০ শয্যার হলেও গড়ে রোগী ভর্তি থাকেন ১৫০-১৭০ জনের মতো। ফলে বাড়তি রোগীদের হাসপাতালের মেঝেতে চিকিৎসা দেওয়া হয়। হাসপাতালটিতে টেলি মেডিসিনের ব্যবস্থা থাকায় সুবিধা পাচ্ছেন লোকজন। এখানে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা নরমাল ডেলিভারি ও সিজার করা হয় বিনামূল্যে। এখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি না থাকায় বাইরে থেকে পরীক্ষার কাজটি সারতে হয় রোগীদের। প্রয়োজনীয় ওষুধও কিনতে হয় বাইরে থেকে।
সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. নাজমুল হুদা বলেন, ‘আমরা যে ভবনটিতে বসে চিকিৎসা দিই, সেটির অবস্থা নড়বড়ে। ৬২ বছরের পুরোনো দ্বিতল হাসপাতাল ভবনটি ব্রিক পিলারের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। যে কোনো সময় ভবনটি ধসে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।’
তিনি বলেন, রেডিওলোজিষ্ট ও সনোলজিস্ট বিভাগে নেই কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। সিনিয়র কনসালট্যান্ট ১১টি পদের মধ্যে ১০ জন নেই। জুনিয়র কনসালট্যান্ট পদ শূন্য রয়েছে পাঁচটি।
তিনি আরও বলেন, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর পদ শূন্য। বিশেষ করে পরিচ্ছন্নতাকর্মীর অভাবে হাসপাতাল পরিষ্কার রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। হাসপাতালের বেশির ভাগ চিকিৎসক বয়সে তরুণ। তাই তারা পেশাদারিত্ব মনোভাব নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। হাসপাতালের দুইটি পুরোনো মডেলের অ্যাম্বুলেন্স রোগী পরিবহনের জন্য রয়েছে। কখন কোন সময় অ্যাম্বুলেন্সের যন্ত্রাংশ বিকল হবে, তার নেই কোনো নিশ্চয়তা। সমস্যার কথা কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি।