রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এলাকায় সরকারি চার হাসপাতালের সামনে থেকে দালাল চক্রের ৪২ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। হাসপাতাল চারটি হলো—শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান এবং ঢাকা শিশু হাসপাতাল। গতকাল বুধবার বেলা ১২টায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান শুরু হয়ে দুপুর ২ টায় শেষ হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাজহারুল ইসলাম।
অভিযান সম্পর্কে র্যাব-২-এর উপঅধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ নাজমুল্লাহেল ওয়াদুদ বলেন, র্যাব দেশ জুড়ে অনিয়ম রোধে কাজ করে যাচ্ছে। তার ধারাবাহিকতায় শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল, হৃদরোগ হাসপাতাল, পঙ্গু হাসপাতাল ও শিশু হাসপাতালে র্যাব-২-এর পক্ষ থেকে অভিযান চালানো হয়। আমরা জানতে পেরেছি, রোগীরা যখন হাসপাতালে প্রবেশ করেন তখন দালালরা তাদের টার্গেট করেন এবং পিছু নেন। এরপর রোগীদের বোঝানো হয় এখানে ভালো ডাক্তার নেই, চিকিত্সা নেই। এসব বলে তাদের বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
তিনি বলেন, রোগীরা যখন ডাক্তার দেখিয়ে চেম্বার থেকে বের হন তখন এই দালালরা জোর করে প্রেসক্রিপশনটা নিয়ে তার ছবি তোলেন। এসবের ভিডিও ফুটেজ আমরা সংগ্রহ করেছি। দালালরা দেখে যে, ডাক্তাররা তাদের টার্গেট দেওয়া ওষুধ লিখেছেন কি না। এ ছাড়া তারা রোগীদের বাইরে যেসব ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান তাতে বিভিন্ন সময়ে ভুল চিকিত্সার ফলে মৃত্যুর মতো ঘটনা ঘটে। আমরা চাই প্রাইভেট হাসপাতালের এসব দৌরাত্ম্য বন্ধ হোক এবং সরকারি হাসপাতালের যে এজেন্ডা তা বাস্তবায়ন হোক।
তিনি আরো বলেন, হৃদরোগ হাসপাতাল থেকে ১৫ জন, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল থেকে ১৮ জন, শিশু হাসপাতাল থেকে চার জন ও পঙ্গু হাসপা