ঘুমধুম-মিয়ানমার সীমান্তে গত ২ দিন ধরে কোনো গোলাগুলি ও মর্টার শেলের শব্দ নেই। এর ফলে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্তঘেঁষা ১৫টি গ্রামের মানুষ কিছুটা স্বস্তিতে আছেন।
গতকাল থেকে আজ বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত টানা দুইদিন ওপারের গোলাগুলির শব্দ এপারের লোকজন শুনতে পাননি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় কৃষকেরা ধান চাষ ও সবজি চাষ আবারও শুরু করে দিয়েছেন।
এদিকে, ঘুমধুম ইউনিয়নের ১ হাজারের অফিক শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে গিয়ে পাঠ নিচ্ছে। ২৩ দিন বন্ধ থাকার পর গতকাল বুধবার থেকে ঘুমধুমের পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দেওয়া হয়েছে।
সীমান্তঘেঁষা ঘুমধুমের পশ্চিম কুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, গত দুইদিন ধরে গোলাগুলির শব্দ কানে আসছে না। সীমান্তের পরিস্থিতি স্বাভাবিক মনে হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় গতকাল থেকে পাঠদান শুরু হয়েছে। তারপরও আতঙ্ক থেকে যাওয়ায় গতকাল শতভাগ শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ছিল না। আজকে উপস্থিতি বেশি হয়েছে।
তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিমকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাইশফাঁড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েও শিক্ষার্থীর উপস্থিতি গতকালের চেয়ে আজ বেশি উপস্থিত ছিলেন।
৫ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের ছোড়া মর্টার শেলের আঘাতে ঘুমধুমের জলপাইতলীতে এক বাংলাদেশিসহ দু'জন নিহত হন। গোলাগুলিতে আহত হন ৮ জন। এরপর ঘুমধুম সীমান্তের পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, টানা ১ মাসের বেশি ধরে রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সংঘাতে জড়ায় দেশটির স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। কিছুদিন গোলাগুলির পর গত সোমবার সকাল থেকে হঠাৎ গুলাগুলির আওয়াজ থেমে যায়। এখন গোলাগুলির শব্দ এপারে শোনা যাচ্ছে না। আমাদের বিজিবি সতর্ক অবস্থায় আছে।