রাজধানীর মিরপুর এলাকায় নির্মাণাধীন সাইট সংলগ্ন রাস্তা ও ফুটপাত থেকে নির্মাণ সামগ্রী অপসারণসহ পথচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্মাণাধীন ভবনে সেফটি-নেট ও সেফটি স্কাফোল্ডিং স্থাপনের মাধ্যমে পরিবেশ বান্ধব নগরের জন্য কাজ করছে রাজউক। এই কার্যক্রমে সকাল ১০ টায় শুরু হয়ে বিকালে পর্যন্ত নির্মাণাধীন বিভিন্ন ভবন পরিদর্শন ও দিকনির্দেশনা প্রদান করে। রাস্তা ও ফুটপাত দখলমুক্ত ও পরিচ্ছন্ন রাখা, পরিবেশ ও বায়ু দুষণরোধে এবং নিরাপত্তার জন্য নির্মাণাধীন ভবন গুলোর নির্মাণ সামগ্রী ভবন মালিকরা নিজ উদ্যোগে সরিয়ে নেওয়ার জন্য রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) কঠোর নির্দেশনা প্রদান করে। নির্মাণ শ্রমিকদের পিপিই ও সেফটি ভেস্ট পরিধানের ব্যাপারে ভবন মালিক ও সাইট ইঞ্জিনিয়ারদের পরামর্শ ও নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
শনিবার (৩০ মার্চ) সকাল থেকে রাজউকের কর্মকর্তা কর্মচারীরা উপস্থিত হয়ে রাস্তা ফুটপাত দখলমুক্ত ও নিরাপত্তা নিশ্চিন্তে কাজ করছে। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, রাজউক জোন-৩/১,আওতাধীন এলাকায় রাস্তা ও ফুটপাথ থেকে বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রী সরানো জন্য রাজউকের কর্মকর্তারা ভবনের মালিকদের নির্দেশনা দিচ্ছেন এবং তাৎক্ষণিক ভাবে তা সরানোর ব্যবস্থা করছে। রাস্তা ও ফুটপাত থেকে নির্মাণ সামগ্রী অপসারণের জন্য প্রয়োজনে পুলিশের সহায়তা ও নেওয়া হচ্ছে।
এছাড়া রাজউক আওতাধীন উত্তরা, গুলশান, আফতাব নগর, মিরপুর, মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, বসিলা, খিলগাও, বনশ্রী, মাতুয়াইল, ও নারায়ণগঞ্জ এলাকাতেও এ কার্যক্রম চলমান।
রাজউকের জোন-৩ এর পরিচালক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজিনা সারোয়ার বলেন, এ কার্যক্রমে রাস্তা বাধাহীনভাবে মানুষ ব্যবহার করতে পারে, পরিবেশ ও বাতাস নির্মল থাকে এবং নির্মাণ শ্রমিকসহ পথচারীদের নিরাপত্তা বজায় থাকে এ বিষয়ে ভবন মালিকদের সচেতন করা হচ্ছে। এ কার্যক্রম আগেও ছিল বর্তমানেও চলছে। ভবন মালিকদের সচেতনতা থাকলেই এ বিষয়টি ফলপ্রসূ হবে। তবে কোনো ভবন মালিক এই বিষয়ে নির্দেশনা না মানলে নির্মাণ আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই কার্যক্রমে অত্র জোনের অথরাইজড অফিসার শেখ মাহাব্বীর রনির ব্যবস্থাপনায় সহকারী অথরাইজড অফিসার, প্রধান ইমারত পরিদর্শক ও ইমারত পরিদর্শকগণসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারগণ উপস্থিত ছিলেন।