সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২
The Daily Ittefaq

প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নির্মাণ কাজের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

আপডেট : ০৭ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৪৩

রাজশাহীর বাঘা উপজেলার রুস্তমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাচীর ভেঙে নতুন প্রাচীর নির্মাণে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে স্কুল পরিচালনা পরিষদের সহসভাপতি ও প্রধান শিক্ষক বারীণ সরকারের বিরুদ্ধে। 

জানা গেছে, একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের কোনো কিছু বিক্রি করতে হলে সরকারি অনুমতি সাপেক্ষে খবরের কাগজে বিজ্ঞপ্তি অথবা মাইকিংয়ের মাধ্যমে উন্মুক্ত নিলাম দিতে হয়। কিন্তু রুস্তমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সেটি করা হয়নি। নতুন প্রাচীর নির্মাণের জন্য সরকারি বরাদ্দ পাওয়ায় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের সঙ্গে যোগসাজশে প্রধান শিক্ষক বারীণ সরকার ও স্কুল পরিচালনা পরিষদের সহসভাপতি আলমগীর হোসেনকে সঙ্গে করে মানসম্মত (১ নম্বর ইটের) প্রাচীর ভেঙে একাকার করেছেন। এ জন্য তার ব্যয় হয়েছে ২৬ হাজার টাকা। যা নিজ মুখে এ প্রতিবেদকের কাছে স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত শিক্ষক। 

স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, প্রধান শিক্ষক বারীণ সরকার দীর্ঘদিন এই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন। সেই সুবাদে তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নিজের সম্পত্তি বলে মনে করেন। এখানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চত্বরে অনেকগুলো আম গাছ রয়েছে। যার আম বিক্রির হিসাব তিনি এবং সহসভাপতি ছাড়া কেউ রাখেন না। এখানকার সভাপতি একজন মহিলা। তিনি নওগাঁয় অবস্থান করার কারণে সহসভাপতি এবং প্রধান শিক্ষক তাদের ইচ্ছেমতো প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে থাকেন। 

প্রধান শিক্ষক বারীণ সরকার বলেন, আমি এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. মামনুর রশিদের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি বলেছেন, সরকারিভাবে নিলাম বিজ্ঞপ্তি দিতে গেলে ইটের সব টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হবে। তাই  স্কুলের স্বার্থে আমি এবং সহসভাপতি নিজেদের পকেট থেকে টাকা দিয়ে এই প্রাচীর ভেঙেছি। 

বাঘা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মামনুর রশিদ বলেন, ঐ প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রচীর নির্মাণের জন্য সাড়ে ৬ লক্ষ টাকা বরাদ্দ এসছে। এই কাজ ঈদের পর শুরু হওয়ার কথা। আমি এর বেশি কিছু জানি না। 

বাঘা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, স্কুলের প্রাচীর ভাঙার বিষয়ে আমি অবগত নয়। তবে সরকারি প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাতের কোনো সুযোগ নেই। নতুন প্রাচীর হওয়ার আগে পুরাতন প্রাচীরের ইট অকশনে বিক্রি হবে এবং বিক্রির সব টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হবে।

ইত্তেফাক/পিও