তীব্র গরমে রাজধানীর খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। মানবিক সহায়তা হিসেবে ডিএমপির বিভিন্ন থানা পুলিশ তাদের এলাকায় জনসাধারণের মধ্যে সুপেয় পানি বিতরণ করছে।
ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের নির্দেশনার পর এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) থেকে দিনব্যাপী রাজধানীর উত্তরা, উত্তরখান, ডেমরাসহ কয়েকটি থানা এলাকায় এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে, যা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
উত্তরা ট্রাফিক বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার নাবিদ কামাল শৈবাল (অতিরিক্ত ডিআইজি) এর সার্বিক সহযোগিতায় ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের মাঝে খাবার স্যালাইন বিতরণ করা হয়। উত্তরা পূর্বথানার উত্তর অংশের প্রায় ১০০ (একশত) ট্রাফিক সদস্যের মাঝে এ স্যালাইন বিতরণ করেন ট্রাফিক উত্তরা জোন এর সিনি. সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. ইব্রাহিম। এসময় ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মেহেদী হাসান, কাজী মিজানুর রহমানসহ পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ডেমরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, প্রচণ্ড তাপদাহে যখন জনজীবন বিপর্যস্ত তখন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মানবিক পুলিশ কমিশনারের নির্দেশক্রমে ডেমরা থানা এলাকায় অসহায় ও শ্রমজীবী মানুষের মাঝে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হয়।
উওরখান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু সাঈদ আল মামুন বলেন, প্রচণ্ড তাপদাহে বিপর্যস্ত খেটে খাওয়া মানুষকে পানি ও স্যালাইন বিতরণ করা হয়েছে। অনেক সাধারণ মানুষ এতে উপকৃত হচ্ছেন। তাপদাহ যতদিন চলবে আমরাও আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাবো।
ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ ইসলাম বলেন, প্রচণ্ড গরমে যখন জনজীবন বিপর্যস্ত তখন ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশক্রমে ধানমন্ডি মডেল থানা এলাকায় অসহায় ও শ্রমজীবী মানুষের জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাপদাহ যতদিন চলবে আমাদের কার্যক্রম চলমান থাকবে।
এর আগে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ডিএমপিতে কর্মরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের জন্য ছাতা, ঠাণ্ডা পানি, স্যালাইনসহ বিভিন্ন সামগ্রী দেন ডিএমপি কমিশনার।
এ সময় তিনি সাধারণ নগরবাসীর সেবায় সবাইকে পাশে থাকার আহ্বান জানান। এরপরই ঠাণ্ডা পানির বোতল, ভ্রাম্যমাণ পানির ট্যাংকি স্থাপন ও লেবুর শরবতসহ খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ান থানা পুলিশ সদস্যরা।
এদিকে শনিবার দেশজুড়ে ব্যাপক তাপদাহ ছিল। যশোরে ৪২ ডিগ্রি এবং রাজধানীতে ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। এতে নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে নগরবাসী।