বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২
The Daily Ittefaq

আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বানিয়াচংয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ৪

আপডেট : ০৯ মে ২০২৪, ২২:৪০

হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে সিএনজি অটোরিকশার স্ট্যান্ড দখল নিয়ে দু’পক্ষের লোকজনের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ৪ জন মারা যায়। 

এ সময় বাড়িঘরে ব্যাপক লুটপাট ও ভাংচুর করা হয়। সংঘর্ষে আরও অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। তাদেরকে সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। 

নিহতরা হচ্ছেন সিএনজি অটোরিকশা চালক আব্দুল কাদির (২৫) ও সিরাজ মিয়া (৫০)। হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান লিলু মিয়া (৫০) নামে অপর একজন। সিলেট নেওয়ার পথে মারা যান নিহত লিলু মিয়ার ভাই আনু মিয়া (৫২)।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বানিয়াচং সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ রঞ্জন দে জানান, ওই উপজেলার আগুয়া গ্রামটি সম্পূর্ণ হাওরাঞ্চল অধ্যুষিত এলাকা। যাতায়াত ব্যবস্থা খুবই নাজুক। এখানে সিএনজি স্ট্যান্ডে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি শান্ত করেছে। তবে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। হাঙ্গামাকারীদের ধরতে অভিযান এবং ঘটনায় সংশ্লিষ্টতা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। বিপুল পরিমান পুলিশ মোতায়েন আছে।

জানা গেছে, ওই উপজেলার আগুয়া গ্রামের বাসিন্দা সিএনজি স্ট্যান্ড ম্যানেজার বদির মিয়া এবং অটোরিকশার চালক আব্দুল কাদিরের মধ্যে স্ট্যান্ডে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। বৃহস্পতিবার ওই গ্রামের বাজারে সিএনজি অটোরিকশার স্ট্যান্ড দখলকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এ সময় ম্যানেজার বদির মিয়া অটোরিকশা চালক আব্দুল কাদিরকে মারপিট করেন। বিষয়টি কাদিরের গোষ্ঠীর লোকদের মধ্যে জানাজানি হলে তারা তাৎক্ষণিক জড়ো হতে থাকে। 

অপরদিকে এ খবর পেয়ে বদির মিয়ার গোষ্ঠীর লোকজনও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জড়ো হয়। একপর্যায়ে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে উভয়পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যে সংঘর্ষ পুরো গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংঘর্ষে যোগ দেয় মহিলারাও। সংঘর্ষে কাদির ও তার পক্ষের সিরাজ মিয়া ঘটনাস্থলেই মারা যান। হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান তাদের পক্ষের লিলু মিয়া। সিলেট নেওয়ার পথে মারা যান নিহত লিলু মিয়ার ভাই আনু মিয়া। সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে দুইজন মৃত্যুর পর পরিস্থিতি আরও ভয়ানক আকার ধারণ করে। হাঙ্গামাকারীরা বাড়িঘরে ভাংচুর ও  লুটপাট চালায়। প্রায় ১ ঘণ্টা স্থায়ী সংঘর্ষে আহত হন অন্তত ৫০ জন। গুরুতর আহত অবস্থায় সদর আধুনিক হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান লিলু মিয়া। সংঘর্ষের খবর পেয়ে বানিয়াচং থানা ও হবিগঞ্জ থেকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পুরো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ইত্তেফাক/পিও