দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আবদোল্লাহিয়ানসহ হেলিকপ্টারে থাকা সবাই নিহত হয়েছেন বলে ইরানের কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন। বিবিসির লাইভ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্রুসহ সর্বমোট নয়জন এই দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেছেন।
মধ্যপ্রাচ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে বৈরিতা দীর্ঘদিনের। সর্বশেষ এপ্রিলে পরস্পরের ভূখণ্ডে হামলা চালায় দেশ দু’টি। হামলার আর সামনের দিকে না গড়ালেও উত্তেজনা পুরোপুরি হ্রাস পায়নি।
ইরানের প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় পড়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন সিনেটর ও রাজনীতিবিদ কথা বলেছেন। সিনেটের ডেমোক্র্যাট নেতা চাক শুমার জানান, মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সঙ্গে তার কথা হয়েছে।
তিনি বলেছেন, এখনো পর্যন্ত কোনো সন্দেহ করার মত কোনো তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
এক সংবাদ সম্মেলনে শুমার বলেন, ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের যে স্থানে কপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে, সেখানকার আবহাওয়া অত্যন্ত কুয়াশাচ্ছন্ন ও খারাপ ছিল। তাই এটিকে একটি দুর্ঘটনা বলেই মনে হচ্ছে। তবে, বিষয়টি এখনো পুরোপুরি তদন্তাধীন।
তবে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এছাড়া বার্তা সংস্থা রয়টার্সের কাছে একজন ইসরায়েলি কর্মকর্তা দাবি করেছেন, রাইসির মৃত্যুর সঙ্গে ইসরায়েল জড়িত নয়।
তবে, এ তথ্যের পক্ষে-বিপক্ষে আর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি বার্তা সংস্থাটির ওয়েবসাইটে।