বরিশালে এবার কোরবানিতে চাহিদার থেকে প্রায় ১৬ হাজার ৮৪৩টি পশু বেশি রয়েছে। এতে করে বিভাগের ছয় জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা মিটিয়েও উদ্বৃত্ত থাকবে। এ বছরে বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ৪ লাখ ৩২ হাজার ৬১১টি। আর খামারি ও কৃষকদের কাছে মজুত রয়েছে ৪ লাখ ৪৯ হাজার ৪৫৪ টি। এতে করে চাহিদা মেটানোর পরেও উদ্বৃত্ত থাকবে ১৬ হাজার ৮৪৩টি পশু।
তবে ব্যবসায়ী ও খামারিরা বলছেন, এবছর ক্রেতাদের গতবারের চেয়েও বাড়তি দামে কিনতে হবে গরু-ছাগলসহ কোরবানির পশু। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, গো-খাদ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় পশুপালনের খরচ বেড়েছে। যে কারণে লোকসান রোধে খামারিরা কোরবানির হাটে পশুর দামও হাঁকাচ্ছেন বেশি।
বরিশাল বিভাগীয় প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, বিভাগের ৬ জেলায় এ বছরে মোট কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ৪ লাখ ৩২ হাজার ৬১১টি। ২৬ হাজার ৫৭৮ জন খামারির কাছে মজুত রয়েছে ৪ লাখ ৪৯ হাজার ৪৫৪ টি। চাহিদার পরেও উদ্বৃত্ত থাকবে ১৬ হাজার ৮৪৩টি পশু। এর মধ্যে বরিশাল জেলায় কোরবানির পশুর প্রয়োজন ১ লাখ ১২ হাজার ৯৪৭টি, মজুত রয়েছে ১ লাখ ১৪ হাজার ৫৫৭টি, ঝালকাঠি জেলায় ৩১ হাজার ১৯টির বিপরীতে রয়েছে ৩১ হাজার ১১৪টি, পিরোজপুরে ৪১ হাজার ২৫০টির বিপরীতে রয়েছে ৪৬ হাজার ৪৯৭টি, পটুয়াখালীতে ১ লাখ ২৩ হাজার ২১০টির বিপরীতে রয়েছে ১ লাখ ২৩ হাজার ৭৪১টি, বরগুনায় ৩২ হাজার ২৩১টির বিপরীতে মজুত রয়েছে ৩৮ হাজার ৯৫টি, ভোলায় ৯১ হাজার ৯৫৪টি বিপরীতে মজুত রয়েছে ৯২ হাজার ৪৫০টি। বিভাগের ২ লাখ ১০ হাজার ৬৪টি, ৬৭ হাজার ৬৬৪টি বলদ, ৩৮ হাজার ৩১৭টি গাভি, ১ লাখ ১০ হাজার ৪৯টি ছাগল, ১২ হাজার ৩৫টি ভেড়া এবং অন্যান্য ৫৫টি কোরবানিযোগ্য পশু রয়েছে।
বরিশাল বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তর পরিচালক ড. মো. লুত্ফর রহমান বলেন, বিভাগের ছয় জেলায় চাহিদার থেকে বেশি কোরবানিযোগ্য পশু রয়েছে। যা কোরবানির পরেও উদ্বৃত্ত থাকবে। গত বছরের চেয়ে এ বছরে বিভাগের ছয় জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ৪ লাখ ৩২ হাজার ৬১১টি। যা গত বছরের চেয়ে ২১ হাজার ৫৮২টি বেশি। এ বছরে ২৬ হাজার ৫৭৮ জন খামারির কাছে কোরবানিযোগ্য পশুর মজুত রয়েছে ৪ লাখ ৪৯ হাজার ৪৫৪টি। গত বছর বরিশাল বিভাগের গরুর চাহিদা ছিল ৪ লাখ ১১ হাজার ২৯টি। এ বছর চাহিদার তুলনায় বেশি কোরবানির পশু থাকলেও গো-খাদ্যের দাম অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় বিগত বছরের তুলনায় দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে বলে ধারণা করছি। তিনি আরে বলে স্থানীয় পর্যায়ের কৃষক ও খামারিরা যেন কোরবানির পশুর ন্যায্য দাম পান, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে সীমান্ত অঞ্চল দিয়ে গবাদি পশু দেশে প্রবেশ রোধে বিশেষ নজর দেওয়ার কথা বলেন এই কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, এ বছর বিভাগের ছয় জেলায় ৩২৮টি কোরবানির পশুর হাট বসবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি ১৩৬টি ভেটেরিনারি মেডিক্যাল টিম হাটগুলোয় কোরবানিযোগ্য পশুর সুস্থতা পরীক্ষা করবে।