বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২
The Daily Ittefaq

নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে সংস্কৃতিকর্মীদের বহু কিছু করবার আছে: ড. সামিনা লুৎফা

আপডেট : ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২১:৫৫

একাধারে শিক্ষক, লেখক, গবেষক, নাট্যকর্মী, নাট্যসংগঠক এবং এক্টিভিস্ট৷ জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের পক্ষে সাহসী অবস্থান নিয়ে বেশ আলোচিত হন। অন্তর্বর্তী সরকারের সময়েও শিক্ষাব্যবস্থা, শিল্প-সংস্কৃতি এবং রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে সদা সোচ্চার। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা। নাট্যাঙ্গনে যিনি নিত্রা নামেই বেশি পরিচিত। তার বেড়ে ওঠা, কর্ম, সংস্কৃতিচর্চা ও সমসাময়িক ভাবনা নিয়ে খোলামেলা আলাপ করেছেন ইত্তেফাক ডিজিটালের সঙ্গে।

ইত্তেফাক : শিল্প-সংস্কৃতি তথা নাটকের সঙ্গে আপনার সম্পৃক্ততা কিভাবে? শুরুর কথা যদি একটু বলেন...

সামিনা লুৎফা : অনেক দিন আগের কথা৷ সালটা ১৯৯৬। আমি তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। টিএসসিতে একদিন একটা পোস্টার দেখেছিলাম, একটা দল কর্মশালার মাধ্যমে নাট্যকর্মী নেবে। আমার পরিবার থেকে একটা বাধা ছিল, সন্ধ্যার পরে বাইরে থাকার ব্যাপারে। আর পড়াশোনাটাও জরুরী প্রায়োরিটিতে ছিল সবসময়। তাই জানতাম আমার বাবা-মা রাজি হবেন না। কেননা তারা ঢাকার বাইরে থাকতেন৷ ঢাকায় আমি একাই থাকতাম। লালমাটিয়ায়। আমার বাসার কাছাকাছি মানে মোহাম্মদপুরে সুবচন নাট্য সংসদ নামের একটা নাটকের দলে ১৫ দিনের কর্মশালায় অংশ নিই। সেই শুরু...তারপর তো, এই যে ২৮ বছর হয়ে গেছে, থিয়েটার আর ছাড়া হয় নাই! আর ছোটবেলা থেকেই আমি আবৃত্তি করতাম, নাচতাম, স্কুলের নাটক করতাম। তখন বাবা-মায়ের চাকরির সুবাদে ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসেই আমরা থাকতাম। স্কুলের নানা সংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে আমি নিয়মিত অংশ নিতাম।

ইত্তেফাক : এক্ষেত্রে আপনার বাবা-মায়ের সাপোর্ট ছিল কিনা?

সামিনা লুৎফা : অবশ্যই ছিল। বাবা-মা চাইতেন আমরা এগুলো করি। যে কারণে আমরা দুই বোনই যা যা করতে চেয়েছি স্বাধীনভাবে করতে পেরেছি।

ইত্তেফাক : আপনার থিয়েটার এক্টিভিটি, আপনার নাটকের দল 'বটতলা' নিয়ে কিছু বলুন...

সামিনা লুৎফা : ১৯৯৬ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত প্রায় এক যুগ আমি সুবচনের সঙ্গেই ছিলাম। ২০০৮ সালে আমরা ২০/২৫ জন বন্ধু সুবচন থেকে বেরিয়ে 'বটতলা' নামে নতুন নাটকের দল গঠন করি। দলের নামটি দিয়েছিলেন আজফার ভাই। মানে কথাসাহিত্যিক আজফার হোসেন।

ইত্তেফাক ডিজিটালের সঙ্গে কথা বলছেন অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা। ছবি: ইত্তেফাক

ইত্তেফাক : দলের নাম 'বটতলা' কেন বেছে নিলেন? 

সামিনা লুৎফা : 'বটতলা' নামটা আমরা ব্যবহার করেছিলাম 'ওপেন স্পেস' অর্থে। আপনি দেখেন, প্রি-মর্ডাণ বেঙ্গলে বটতলা একটা সর্বজনীন ওপেন স্পেস। সেখানে গ্রামীণ মেলা বসে, হাট-বাজার বসে, বই বিক্রি হয় এমনকি রাজনৈতিক অনুষ্ঠানগুলোও বটতলা কেন্দ্রিক আয়োজন করা হয়। মফস্বল বা গ্রামীণ জনপদে তো বটেই, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও; আমাদের অথবা জাহাঙ্গীরনগর ক্যাম্পাসে নানা আন্দোলন, অনুষ্ঠান, কর্মকাণ্ডে বটতলার একটা বিরাট ভূমিকা আছে।

ইত্তেফাক : বাংলাদেশের মঞ্চনাটকের সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা যদি বলেন...

সামিনা লুৎফা : দেখুন, এখন না হয় দেশে একটা রাজনৈতিক পরিবর্তন চলছে, কিন্তু বাংলাদেশের থিয়েটারের সংকট অনেক আগে থেকেই। আমি মনে করি গ্রুপ থিয়েটারের সংকট-ই আমাদের থিয়েটারের সংকট। বর্তমান প্রেক্ষিতে বাংলাদেশে গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের যৌক্তিকতা আর আছে বলে আমি মনে করিনা। কেননা, বাংলাদেশ এখন প্রবলভাবে একটা নিওলিবারেল পুঁজির সমাজে পরিণত হয়েছে। এমন পুঁজিবাদী সমাজব্যবস্থায় একটা ছেলে বা মেয়ে বিনা পয়সায় বিনা কারণে কেবল সমাজ পরিবর্তনের লক্ষ্য নিয়ে থিয়েটারে সময় দেবে এবং বছরের পর বছর সেটা দিয়েই যাবে, যা থেকে তার তেমন ব্যক্তিগত লাভ নেই, কিন্তু সে দেখতে পাবে তার দলেরই নেতারা বিভিন্ন জায়গায় এই ফেডারেশন-টেডারেশনের রাজনীতি করে বিভিন্ন ভাবে ব্যবসায় পূনর্বাসনের ব্যবস্থা করবেন। সেইটা সবসময় সরাসরি টাকাপয়সা নাও হতে পারে, সমাজবিজ্ঞানের ভাষায় সামাজিক পুঁজি বলেও একটা টার্ম আছে। দেখা যাচ্ছে আপনি ক্ষমতাধরদের সঙ্গে পরিচিত হচ্ছেন, তারা আপনাকে বিভিন্ন কাজ পাইয়ে দিচ্ছে ইত্যাদি ইত্যাদি। মানে থিয়েটার হয়ে গেছে একটা ক্লিক তৈরির জায়গা, মানে আপনি এখানে পা দিয়ে অন্য কোথাও যাবেন। মানে আপনার যে পরিচিতিটা তৈরি হবে সেটাকে আপনি অন্য কোথাও কাজে লাগাবেন। মানে আপনি সামাজিক পুঁজি তৈরি করবেন। যেটা হয় গ্রাম থেকে এসে থিয়েটার করা একটা ছেলে বা মেয়ের থেকে আমরা যারা নগরবাসি, যারা এডুকেটেড মিডল ক্লাস, তারা সামাজিক পুঁজির সুবিধাটা বেশিমাত্রায় নিতে পারবো। এইখানে একটা শোষণমূলক কাঠামো তৈরি হচ্ছে। তাছাড়া থিয়েটার ফেডারেশনের এই যে রাষ্ট্রীয় আনুগত্যে মাথা পেতে দেওয়ার যে প্রবণতা, সেইটাও আমরা দেখেছি। তাছাড়া ফেডারেশন গঠনের মূল যে দাবি বা লক্ষ্য ছিল, প্রধানত থিয়েটারকর্মীদের জন্য আলাদা একটি মঞ্চ আরেকটি ছিল অভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইন বাতিল, সেই দুটো দাবিই পূরণ হয়ে গেছে। সো, এর পরও এই সংগঠন টিকিয়ে রাখা মানে হচ্ছে কারো না কারো সুবিধা আদায়ের জায়গা তৈরি রাখা। এছাড়া নতুন আর পুরাতনের মধ্যেকার পার্থক্য ও দূরত্ব সংকটের কারণ বলে মনে করি। এখন তো নতুনেরাই ভালো করছে। এর মধ্যে রেপার্টরি বা পেশাদারিত্বের জায়গাটাও তৈরি হচ্ছে। এখন থিয়েটার ফেডারেশন অনেকটা বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে, বিশেষ করে আমরা যারা ঠিকঠাক মতো থিয়েটারটা করছি বা করতে চাই তাদের জন্য। কেননা, উনারা সবকিছু দখল করে রেখেছে। উনাদের গ্রীন সিগনাল ছাড়া শোয়ের ডেট পাওয়া যায় না ইত্যকার নানা সংকট রয়েছে।

ইত্তেফাক : বাংলাদেশের শিল্প-সংস্কৃতির সংকট থেকে উত্তরণের পথ কি?

সামিনা লুৎফা : আসলে ব্যাপারগুলো সব একই রকম। শিল্প সংস্কৃতি যে করছে অবশ্যই তার একটি আদর্শিক জায়গা থাকতে হবে। আরেকটা কথা শিল্প-সংস্কৃতি বা থিয়েটার যাই বলেন কোনোটাই রাজনীতির বাইরে না। আপনাকে শিল্পকলা করতে হলে রাজনীতিসচেতন হতে হবে। আর অবশ্যই একজন শিল্পীকে রাষ্ট্রব্যবস্থাকে প্রশ্ন করতে থাকতে হবে। সকল অনাচার-অনিয়ম আর অসংগতির ব্যাপারে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিতে হবে রাষ্ট্রকে।

ইত্তেফাক : সাম্প্রতিককালে শিল্পকলা একাডেমিতে দেশ নাটকের শো মাঝপথে বন্ধ করা এবং এটা নিয়ে পরবর্তীতে আপনাদের অর্থাৎ থিয়েটারকর্মীদের আমরা সোচ্চার হতে দেখেছি। এ ব্যাপারে আপনাদের পরবর্তী পদক্ষেপগুলো কি কি?

সামিনা লুৎফা : আমরা মোট ৬টি দাবি পেশ করেছিলাম, তার মধ্যে একটি দাবি ছিল দেশ নাটকের শো পুনরায় বরাদ্দ দিতে হবে, যেটি আগামী ২৯ নভেম্বর দেওয়া হয়েছে। আরেকটি মূল দাবি ছিল শিল্পকলা থেকে সেনাবাহিনীর ক্যাম্প সরিয়ে সকলের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। ডিজি মহোদয় আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, আমাদের অন্যান্য দাবিগুলোর বিষয়ে তিনি উদ্যোগ নেবেন।

ইত্তেফাক : থিয়েটার ফেডারেশনের সাম্প্রতিক সংকট নিয়ে আপনার মন্তব্য...

সামিনা লুৎফা : দেখুন, এটা তো আমি আগেই বলেছি। যে সংগঠন বহুদিন অনেকটা বন্ধ্যাত্ব নিয়ে বেঁচে আছে। যেখানে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে প্রবীণ আর নবীনদের দ্বন্দ্ব, সাথে রয়েছে আর্থিক বা সামাজিক সুবিধাভোগের আকাঙ্খা, সেখানে দলাদলি, দ্বন্দ্ব হওয়াটাই স্বাভাবিক।

ড. সামিনা লুৎফার সঙ্গে আলাপচারিতায় ইত্তেফাক ডিজিটালের সিনিয়র সাব-এডিটর শৈবাল আদিত্য। ছবি: ইত্তেফাক

ইত্তেফাক : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আগে পরে আমরা 'বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক'কে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে দেখেছি, ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে রাষ্ট্র সংস্কারের ব্যাপারে আপনাদের ভূমিকা কি?

সামিনা লুৎফা : আমরা শিক্ষাব্যবস্থা বিশেষত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সংস্কারের রূপরেখা প্রণয়নের জন্য কাজ করছি। প্রচুর মানুষের প্রস্তাবনা আমরা পেয়েছি, যেটা হিউজ পরিমান। সেগুলো যাচাই-বাছাইয়ে একটু সময় লাগছে। তাছাড়া আমরা গণঅভ্যুত্থানের পর সব লণ্ডভণ্ড অবস্থা থেকে বেরিয়ে গুছিয়ে নেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে কিছুটা সময় দিতে চাইছিলাম। যেহেতু ক্ষমতার ১০০ দিন অতিক্রান্ত হয়েছে, এখন আমরা পুনরায় সরকারকে আমাদের দাবি-দাওয়া ও সংস্কারের প্রস্তাবনাগুলো জানাবো।

ইত্তেফাক : সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্যে আপনি বলেছেন, 'শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে যাওয়ার পরবর্তী তিন মাস মবের মুল্লুক মনে হয়েছে'... এখন কি আর সেটা মনে হচ্ছেনা, গণঅভ্যুত্থানে ক্ষতিগ্রস্তদের পূনর্বাসন প্রসঙ্গে যদি কিছু বলেন...

সামিনা লুৎফা : পরিস্থিতি এখন কিছুটা ভালো, তবে শংকামুক্ত নয়। আমি মনে করি এর থেকে উত্তরণে গণসচেতনতা তৈরিতে সংস্কৃতিকর্মীরা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারেন। জুলাই আগস্ট হত্যাকাণ্ডের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে কেবল টাকা দেওয়াটাই যথেষ্ট নয়। সন্তান বা প্রিয়জন হারানো পরিবারগুলো ট্রমার মধ্যে আছে, তাদের এই ট্রমাটাইজড থেকে স্বাভাবিক করতে জেলা-উপজেলাওয়ারি নানা সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড যেমন পথনাটক, আর্ট এক্সিবিশন, মঞ্চনাটক, গানের অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে হবে। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে সংস্কৃতিকর্মীদের বহু কিছু করবার আছে। সকলকে যার যার জায়গা থেকে এগিয়ে আসতে হবে। আমি শিল্পকলার ডিজিকে বলেছি, ঢাকার যে জায়গুলোতে বেশিমাত্রায় সহিংসতা বা আহত-নিহতের ঘটনা ঘটেছে যেমন যাত্রাবাড়ি, উত্তরা, মিরপুর, মোহাম্মদপুর, এসব জায়গাগুলোতে আমরা টিম পাঠাই। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে কথা বলি, তাদের কথার ভিত্তিতে নাটক লিখি, গান লিখি, মঞ্চস্থ করি। সেইটা তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

ইত্তেফাক : বর্তমান সংস্কৃতি উপদেষ্টা একজন নির্মাতা, তিনি নিজে দীর্ঘদিন মঞ্চ নাটক ও নাট্যদলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তার কাছে প্রত্যাশা কি? অথবা যদি তাকে কোনো পরামর্শ দিতে চান...

সামিনা লুৎফা : (হেসে) আমি জানতাম না তিনি একজন থিয়েটারকর্মী। তবে উনার সিনেমাগুলোতে দেখেছি, তার চিন্তা-চেতনায় বহুমাত্রিকতা আছে। শুধুমাত্র সাদা বা কালোর গতানুগতিক ফরমেট থেকে বের হয়ে উনি জীবনের অন্যান্য জটিল রঙগুলোকেও দেখানোর চেষ্টা করেছেন। আমার ধারণা তিনি যেহেতু ভিন্নভাবে ভাবতে পারেন, নিশ্চয়ই সংস্কৃতি উপদেষ্টা হিসেবেও ভালো কিছু আমাদের দেবেন। বাংলাদেশের শিল্প-সংস্কৃতি-কৃষ্টির সংকটগুলো থেকে উত্তরণে সময়োপযোগী ও সাহসী সিদ্ধান্ত নেবেন। তাছাড়া একজন শিল্পসংশ্লিষ্ট মানুষের সবসময় সব অবস্থাতেই নিজের মেরুদণ্ড সোজা রাখাটা অত্যাবশ্যক। বাকিটা তো তিনিই প্রমাণ করবেন।

ইত্তেফাক : শিক্ষকতা, লেখালেখি ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি আপনি একজন এক্টিভিস্ট৷ কাঙ্খিত বাংলাদেশ পেতে আমাদের আরও কত সময় লাগবে, যখন আপনাকে আর রাজপথে দাঁড়াতে হবে না?

সামিনা লুৎফা : (হেসে) বিদ্রোহী কবির ভাষায় বলতে হয় ‘যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দন রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না...’

ইত্তেফাক : শেষ প্রশ্ন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক, একজন নাট্যকর্মী ও সংগঠক এবং রাজপথের প্রতিবাদী যোদ্ধা... কোন নিত্রাকে আপনার বেশী পছন্দ?

সামিনা লুৎফা : আসলে সবখানে তো একটা নিত্রা-ই থাকে! তবে শিক্ষকতা পেশাটিকে আমি খুব এনজয় করি। আমার স্টুডেন্টদের সঙ্গে ক্লাসরুমে আমার দারুণ সব মুহূর্ত কাটে। আর নাট্যকর্মী হিসেবে আমি যখন কোনো চরিত্রে রূপান্তর হয়ে মঞ্চে দাঁড়ায়, সেই সময়টাকে খুব ভালোবাসি। যদিও নানা কারণে অনেকদিন মঞ্চে পারফর্ম করা হচ্ছে না, তবে শিগগীরই ফিরবো।

ইত্তেফাক/এসএ