সবশেষ বিপিএলে দুর্দান্ত ছিলেন আলিস আল ইসলাম। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে বল হাতে দুর্দান্ত ঘূর্ণি দেখিয়ে চলতি বছরের শুরুতেই ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কা সিরিজে প্রথমবার জাতীয় দলে ডাক পেয়েছিলেন তিনি। তবে আঙুলের চোটে সেবার আর দলে যোগ দেওয়া হয়নি তার। ফলে পিছিয়ে যায় জাতীয় দলে তার শুরুর সম্ভাবনা। তিন মাসের বেশি সময় চোটের কারণে ছিলেন বাইরে।
পরে এইচপি ইউনিটের হয়ে অস্ট্রেলিয়া সফর করেন আলিস। এছাড়া বাংলাদেশ 'এ' দলের হয়ে ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপ খেলতে যান ওমানে। কিন্তু জাতীয় দলে সুযোগ আর মেলেনি তার। তবে এবার ফের বিপিএলে নিজেকের প্রমাণ করার সুযোগ দেখছেন আলিস। যা কাজে লাগিয়ে আবারও জাতীয় দলে ঢুকার রাস্তা তৈরি করতে চান তিনি।
আসন্ন বিপিএলে আলিসের নতুন ঠিকানা চিটাগাং কিংস। ফ্রাঞ্চাইজিটির সঙ্গে ইতোমধ্যে দুই দিন অনুশীলন করে ফেলেছেন তিনি। গতকাল দ্বিতীয় দিনের মতো অনুশীলন শেষে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন। এ সময় শোনান গত এক বছর কীভাবে কেটেছে সেই গল্প। বলেন, 'যখন জাতীয় দলের জন্য ডাক পেলাম তখনই চোটটা আসে। সেটা তিন মাস বা সাড়ে তিন মাস থাকে। তাতে শ্রীলঙ্কা সিরিজ ও প্রিমিয়ার লিগ মিস করি। আর সাধারণত প্রিমিয়ার লিগের পর আর খেলা থাকে না। এনসিএলের চার দিনের ম্যাচেও খেলিনি। পরে এনসিএল টি-টোয়েন্টি থেকে শুরু করি। তার আগে অস্ট্রেলিয়া আর ওমানে খেলি দুটোই ভালো কাটিয়েছি।'
তিনি আরও বলেন, 'এমনটা (চোটে কারণে সুযোগ হারানো) মাঝে মাঝেই হয়, হতাশ নই। এখন সবকিছু নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এখন ভালো একটা সুযোগ লাগবে, পরিষ্কার বলতে ভালো পারফর্ম -চিটাগাং কিংস করা লাগবে। আর জাতীয় দলে ডাক পাওয়া তো আর সহজ বিষয় নয়। যে একবার সুযোগ পেয়েছি বলে যে বার বার সুযোগ পাব বিষয়টা এমন না। আমার আবার সুযোগ পেতে হলে অবশ্যই নিজেকে প্রমাণ করেই আসতে হবে। তো সেটার জন্য বিপিএল একটা ভালো জায়গা, আবার সুযোগ এসেছে নিজেকে প্রমাণ করার।'
বিপিএলের নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম ম্যাচ থেকেই সবার নজর কেড়েছেন আলিস। অভিষেক ম্যাচেই হ্যাটট্রিকসহ চার উইকেট নেওয়ার পর থেকেই নিয়মিত বিপিএলের তারকা বোলার তিনি। সবশেষ আসরেও কুমিল্লার হয়ে ৮ ম্যাচে নেন ৯ উইকেট। তবে এবার লক্ষ্য তার সেরা পাঁচে থাকার। বলেন, সব সময়ই (প্রতি আসরেই) লক্ষ্য থাকে সেরা পাঁচ উইকেট শিকারির তালিকায় থাকা। এবারও লক্ষ্য থাকবে সেটাই।'
এদিকে বিপিএলের আগে প্রস্তুতি হিসেবে অনুষ্ঠিত হওয়া এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে ঢাকা মেট্রোর হয়ে ১০ ম্যাচে ১৪ উইকেট নেন আলিস। আসর জুড়ে মিতব্যয়ী বোলিংয়ে ওভারপ্রতি তিনি খরচ করেন মাত্র ৫.৩২ রান। বিপিএলে চিটাগং কিংসের হয়েও একই লক্ষ্য তার। বলেন, 'টি-টোয়েন্টিতে বোলিংয়ের দিক থেকে দুইভাবে জেতা যায়। আপনি হয়তো ইকোনমিক একটা স্পেল করে বের হয়ে যাবেন। যা করতে পারলে অন্য বোলারদের ওপর থেকে চাপ সরে যাবে। নয়তো আপনি শুরুতে উইকেট বের করে দেবেন। আমার লক্ষ্য থাকে সবসময় ইকোনমিক বোলিং এবং শুরুতে উইকেট বের করা। শুরুতে উইকেট নিতে গিয়ে একটা-দুইটা বাউন্ডারি বের হয়ে যেতে পারে। এটা স্বাভাবিক। তবে আমার সবসময় লক্ষ্য থাকে আমি মিতব্যয়ী বোলিং করার।'