বিপিএলের টিকিট নিয়ে যে হ-য-ব-র-ল অবস্থা হয়েছে তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। ভালো কিছুর সুফল পাওয়ার জন্য একটু অপেক্ষা করতে হয়, ধৈর্য ধরতে হয় বলে জানিয়েছেন তিনি। গতকাল মিরপুরে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেছেন, 'প্রথম কোনো জিনিস চালু হলে দুনিয়ার যে কোনো জায়গায় সমস্যা থাকে। বিশ্বকাপের টিকিট কাটতে গেলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়।' বিপিএলের প্রথম কয়েকটি ম্যাচ পরে টিকিট-সংক্রান্ত জটিলতা সমাধান হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বিপিএলের উদ্বোধনী দিনে টিকিট পেতে বেশ ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছিল দর্শকদের। ক্ষুব্ধ হয়ে কেউ কেউ স্টেডিয়ামের ফটক ভাঙার মতো কাজে জড়িয়েছেন। তবে এই ঘটনাকে বিচ্ছিন্নভাবে দেখছেন না ফারুক। তার মতে এর পেছনে নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষ জড়িত রয়েছে, যারা বিপিএলের ভালো চান না কিংবা কোনো ধরনের অরাজকতা তৈরি করতে চান। বিসিবি সভাপতি সেই সংখ্যাকে ৫০-১০০ এর মধ্যে রেখেছেন। বলেছেন, 'আমি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে দেখেছি। তারা (ফটক ভাঙার সঙ্গে যারা জড়িত) টিকিট-প্রত্যাশী ছিল বলে আমার বিশ্বাস হয় না। এটা উদ্দেশ্যমূলকভাবে করা হয়েছে।'
এদিকে খেলার টিকিট পরিপূর্ণভাবে আধুনিকায়ন করার পথে হাঁটছে বিসিবি। এই বিপিএল দিয়ে সে যাত্রা আংশিকভাবে শুরু হয়েছে। কিন্তু টুর্নামেন্ট শুরুর আগে বেশি সময় না পাওয়ায় কিছু জটিলতা হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন বিসিবি সভাপতি। প্রথম দিনে সার্ভারে জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে একটু সমস্যা ছিল বলে অনেকে টিকিট কাটতে পারেননি। পরে সে সমস্যার সমাধান করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফারুক। আর টিকিট বিক্রির বুথে একটু দেরিতে টিকিট পৌঁছানোর কারণে ভোগান্তির শুরু হয়েছিল। ফারুক বিশ্বাস করেন টিকিট পরিপূর্ণভাবে আধুনিকায়ন হলে লাভবান হবে বিসিবি।
তিনি বলেছেন, 'যে টাকা খরচ হবে টিকিট বিক্রি করে তার থেকে বেশি তুলতে পারব। বিপুলসংখ্যক টাকা উপার্জন সম্ভব, সেটি ক্রিকেটের উন্নয়নে কাজ করবে।' অনলাইনে টিকিট ব্যবস্থা চালু হলে বিসিবির ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা প্রবেশ করবে বলে জানান তিনি। তখন তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে টাকা তোলার ভোগান্তি থাকবে না।
ডিজিটাল ব্যবস্থার কিছু দুর্বলতা থাকে, সেটি জানেন ফারুক। বিভিন্ন সময়ে হ্যাকারদের কবলে পড়ার শঙ্কা থাকে। সে বিষয়ে ফারুক আহমেদ বলেছেন, 'এই স্টেডিয়ামে ২৬ হাজারের কিছু বেশি ধারণক্ষমতা রয়েছে। এর থেকে একটা টিকিট বেশি ছাড়া হবে না। আর প্রত্যেকটা টিকিটের সঙ্গে কিউআর কোড ও ভিডিএস- এই দুই সিস্টেম একসঙ্গে থাকবে। তাতে কেউ নকল করতে পারবে না, হ্যাক করতে পারবে না এই টিকিট।' এছাড়া বিপিএলের টিকিট থেকে কত টাকা উপার্জন হবে সেটি প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।