শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৪ মাঘ ১৪৩১
The Daily Ittefaq

এবার নতুন পরিচয়ে বাফুফেতে ছোটন 

আপডেট : ০৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৩৭

বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের সাবেক কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটন এবার অন্য পরিচয়ে বাফুফেতে যোগ দিয়েছেন। এবার তিনি ফুটবল উন্নয়ন কার্যক্রমের দায়িত্ব নিয়েছেন। এখন থেকে তার পদ হচ্ছে হেড অব ইয়থ ডেভেলপম্যান্ট অ্যান্ড এলিট একাডেমি। সারা দেশ থেকে খেলোয়াড় বাছাই করে বাফুফের এলিট একাডেমিতে এনে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজটি করবেন ছোটন। ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা বেতনে এক বছরের জন্য তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ছোটন। ট্যালেন্ট খুঁজে বের করবেন তিনি।

দেশের আনাচ-কানাচে কাজ করার কথা রয়েছে ছোটনের। এলিট একাডেমি বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে খেলবে। এর বাইরেও খেলোয়াড়দের সুযোগ রয়েছে। এলিট একাডেমির খেলোয়াড়রা বয়সভিত্তিক জাতীয় দলের খেলার সুযোগ পাবেন। বিভিন্ন ক্লাবে খেলার সুযোগ পাবেন। ছোটন বলেন, 'একাডেমিতে খেলোয়াড়রা ভালোভাবে জীবন গড়ার সুযোগ পাবেন। ভালো ফুটবলার হবেন, বড় ফুটবলার হবেন। এটাই আমরা প্ল্যান।' 

বাফুফের সহ-সভাপতি মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদী ডেভেলম্যান্ট কমিটির চেয়ারম্যান। তিনি ছোটনকে একাডেমিতে কাজে লাগাতে চান। যশোরে তার একাডেমি রয়েছে। সেখানে গিয়ে কাজ করতে হবে ছোটনকে। খেলোয়াড় বাছাই করে সেখানে নিয়ে যাবেন ছোটন। ওখান থেকে দল নিয়ে ঢাকায় বিসিএল খেলতে আসবেন। ছোটন বলে, 'ঢাকায় মাঠের সমস্যা হয়। ওখানে যদি মাঠ থাকে, ভালো খেলার ব্যবস্থা থাকে, থাকার ব্যবস্থা থাকে। তাহলে কী সমস্যা? আমরা ঢাকার বাইরে থেকে এসে খেলব।'

ছোটন বলেন, 'আমি ২০০৬-০৭ সালে কাজ তৃণমূল ফুটবলে কাজ করেছি। ওটা বাফুফের হয়েই করেছি। পুরুষদের সিনিয়র জাতীয় দলের সহকারী কোচ ছিলাম ২০০৮ সালে। এরপর একটা মেয়েদের দল দেওয়া হলো প্রশিক্ষণের জন্য। বলা হলো মেয়েদের দলটা যেন ফুটবল খেলতে পারে। সে দলটা দুইবার সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।' 

প্রথম বার সাফ চ্যাম্পিয়ন হলেও দ্বিতীয় বার ছোটন সেই দলের কোচ ছিলেন না। না থাকলেও তার অবদান ভুলবার নয়। বাফুফের চাকরি ছেড়ে সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে কোচ হয়েছেন। সেখানেও মেয়েদের দল, পুরুষদের দলেও প্রশিক্ষণ দিয়েছেন তিনি। এবার বাফুফেতে যোগ দিলেন। তার লক্ষ্য দেশের ফেডারেশন বড় দায়িত্ব দিয়েছে, সেটা কাজে লাগাতে হবে। নিজ হাতে নতুন নতুন ফুটবলার তৈরি করতে চান। কিন্তু এক বছরে কী করবেন ছোটন। বললেন, 'এক বছরে কিছুই হয় না। এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া।'

ইত্তেফাক/জেডএইচ