আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের অন্তর্ভুক্ত ২৫টি ক্যাডারের সমস্যা সমাধানে ৩টি প্রস্তাব করা হয়েছে। শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশনেআয়োজিত ‘জনবান্ধব সিভিল সার্ভিস বিনির্মাণে করণীয়: প্রেক্ষিত বাংলাদেশ ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রস্তাব তুলে ধরা হয়।
‘ক্যাডার যার মন্ত্রণালয় তার; উপসচিব পদে কোটা বাতিল; সকল ক্যাডারের সমতা' এই তিন দাবিতে প্রস্তাব তুলে ধরা হয়।
লিখিত বক্তব্যে সংগঠনটির সমন্বয়ক মুহম্মদ মফিজুর রহমান বলেন, পরিষদের অন্তর্ভুক্ত ২৫টি ক্যাডারের সমস্যা ও সমাধান গভীরভাবে পর্যালোচনা করেছে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ।
তিনি বলেন, জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠনের অন্তরায়সমূহ পর্যালোচনা করতে গিয়ে তিনটি মূল সমস্যা চিহ্নিত করা হয়েছে– মন্ত্রণালয়ে অনভিজ্ঞ ও অপেশাদার কর্মকর্তার পদায়ন, আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে উপসচিব ও তদূর্ধ্ব পদে কোটা পদ্ধতি প্রয়োগ এবং আন্তঃক্যাডার বৈষম্য। উল্লিখিত তিনটি সমস্যার সমাধান করলে সিভিল সার্ভিসের ক্যাডারগুলোর মধ্যে বৈষম্য দূর হবে, পাশাপাশি জনবান্ধব ও সেবামূলক রাষ্ট্রকাঠামো তৈরি হবে বলে এ পরিষদ মনে করে।
পরিষদের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, প্রতিটি মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট দক্ষ, অভিজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞ কর্মকর্তাদের দ্বারা নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করতে হবে। অর্থাৎ, কৃত্য পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করা।
এতে আরও বলা হয়, উপসচিব পদে কোটা পদ্ধতি বাতিল করে এসএসপি প্রথা পুনরায় চালু করার মাধ্যমে মেধার ভিত্তিতে উপসচিব ও তদূর্ধ্ব পদে নিয়োগ প্রদান এবং ক্যাডারসমূহের মধ্যে বিদ্যমান বৈষম্য দূর করতে হবে।
মফিজুর রহমান বলেন, সিভিল প্রশাসন সংস্কারের অংশ হিসাবে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে। কমিশন গঠন বৈষম্যপূর্ণ হলেও আমরা এ কমিশনকে সহযোগিতা করতে চেয়েছি। কমিশনের সাথে থেকে আলোচনার মাধ্যমে জনবান্ধব সিভিল প্রশাসন গড়তে কাজ করার অঙ্গীকার করেছি।
তিনি বলেন, উপসচিব পদে কোটা পদ্ধতি বাতিল করে সকল ক্যাডারের কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে পরীক্ষার ভিত্তিতে নিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছি। কিন্তু কমিশন আমাদের সাথে কোন প্রকার আলোচনা ছাড়াই উপসচিব পদে প্রশাসন ক্যাডারের জন্য ৫০ শতাংশ কোটা রেখে অন্যান্য ২৫টি ক্যাডারের জন্য পরীক্ষা ভিত্তিতে নিয়োগ এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্যাডারকে সিভিল সার্ভিস হতে আলাদা করার সুপারিশ করেছে, যা গ্রহণযোগ্য এবং জনবান্ধব সিভিল সার্ভিস গঠনের অন্তরায়।
গণমাধ্যমে এ ধরনের খবর প্রকাশিত হওয়ায় সার্ভিসের সদস্যদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান মফিজুর রহমান।