শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫, ১৪ চৈত্র ১৪৩১
The Daily Ittefaq

রিমান্ড মঞ্জুরের পর আদালত প্রাঙ্গনে ছাত্রলীগের ১০ নেতাকর্মীকে মারধর

আপডেট : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৮:০০

নরিসংদীর আদালত প্রাঙ্গনে শেখ ‍মুজিবুর রহমানের মুর‌্যাল ভাঙচুর করার সময় উতপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এসময় নরসিংদীতে গ্রেপ্তার নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের ১০ নেতাকর্মীকে আদালত থেকে নেওয়ার পথে মারধরের ঘটনা ঘটে।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নরসিংদী জেলা ও দায়রা আদালতে এই ঘটনা ঘটে।

এর আগে ওই ১০ নেতা কর্মীকে ৭ দিনের রিমান্ড দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে নরসিংদীর অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক নাহিদ নিয়াজী এ আদেশ দেন।

ওই ১০ নেতাকর্মীর মধ্যে ৯ জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন, শিবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফাজায়েল ভূঁইয়া রয়েল (২৫), পলাশ উপজেলার জিনারদী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি তারেক আকন্দ (২৮), পলাশ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আরিফ (৩০), পলাশ শিল্পাঞ্চল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদ হাসান (২৫), পলাশ উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য মো. রাজু মিয়া (৩১), শিবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য ফরহাদ আফ্রাদ(১৮), মনোহরদী উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য জাহিদ মোল্লা (২৪), মাধবদী থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হোসেন মনির (২৮) ও পলাশ উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম(২৬)।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, এর আগে সকালে নরসিংদী জেলা কারাগার থেকে গ্রেপ্তার ছাত্রলীগ নেতাদের কোর্ট হাজতে এনে রাখা হয়। এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের বিক্ষোভে আদালত পাড়ায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।  বিক্ষোভকারীরা নরসিংদী জেলা আইনজীবী সমিতির ভবনে স্থাপিত সাবেক শিল্পমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন ও তার পিতা প্রয়াত  আব্দুল মজিদের ছবি ভাঙচুর করে। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পুলিশি পাহাড়ায় ছাত্রলীগের ১০ নেতাকর্মীকে আদালতে তোলা হয়।

নরসিংদী মডেল থানা পুলিশ আদালতের কাছে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানী শেষে আদালত ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এসময় আসামী পক্ষের কোনো আইনজীবীকে আদালতে দেখা যায়নি। পরবর্তীতে আদালত থেকে বের করে কোর্ট হাজতে নেয়ার সময় পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে বিক্ষোভকারীদের আক্রমণের শিকার হয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

নরসিংদী আদালতের পুলিশ পরিদর্শক খন্দকার জাকির হোসেন জানান, গ্রেপ্তাদের আদালতে ঢোকানোর আগে থেকেই অবস্থান নেওয়া ছাত্রজনতা বিভিন্ন স্লোগান দেন এবং হামলার চেষ্টা করেন। আদালত আসামিদের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। এখন আদালতের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

ইত্তেফাক/এপি
 
unib