ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী এবং এলাকাবাসীর নিরাপত্তার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থিত ইবি থানা স্থানান্তর না করার দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এসময় আন্দোলনকারীরা আওয়ামী সরকারের আমলে নেওয়া থানা স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান জানান।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় ইবির প্রধান ফটক সংলগ্ন খুলনা-কুষ্টিয়া মহাসড়কে তারা মানববন্ধন করেন। মানববন্ধন শেষে আন্দোলনকারীরা খুলনা-কুষ্টিয়া মহাসড়ক অবরোধ করেন। কয়েক ঘণ্টার অবরোধের কুষ্টিয়ার সঙ্গে যশোর-খুলনার যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মহাসড়কের দুই পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।
কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার আন্দোলনস্থলে এসে থানা স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত বাতিলের ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত মহাসড়ক না ছাড়ার ঘোষণা দেয় আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনকারীরা জানান, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা এবং পার্শ্ববর্তী সাতটি ইউনিয়নের আইন শৃঙ্খলা রক্ষা ও মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় দীর্ঘ দিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও এলাকার মানুষের মতামত উপেক্ষা করে ফ্যাসিস্ট সরকারের স্বার্থান্বেষী কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তি অসত্য তথ্য দিয়ে এই থানাকে সরিয়ে ১৬ কিলোমিটার দূরে দুর্গম ঝাউদিয়ায় নেয়ার অপচেষ্টা করছে। ২০২২ সালের ২৭ নভেম্বর নিকার কমিটির সভায় ঝাউদিয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা স্থানান্তর এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও এলাকাবাসীর সম্মতিতে থানা স্থানান্তর করে এখানে পুলিশ ক্যাম্প প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত অনুমোদন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের মতামত না নিয়ে এমন অপচেষ্টা সাধারণ শিক্ষার্থীরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও ক্যাম্পাসকে সুরক্ষিত রাখতে হলে ইবি থানাকে তার পূর্বাবস্থায় বহাল রাখার কোনো বিকল্প নেই।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা ও উপজেলা বর্তমান কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মো. তৌহিদুল হাসান লাবু শহীদ জিয়ার গড়া আমাদের গৌরবময় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করতেই এখানে প্রতিষ্ঠিত দীর্ঘদিনের পুলিশি থানা সরিয়ে ফেলার কার্যক্রম সম্পন্ন করেছিল পালিয়ে যাওয়া ফ্যাসিস্ট সরকার। ইবি থানা ইবিতেই থাকবে, অন্য কোথাও এই থানা স্থানান্তর করা যাবে না।