চট্টগ্রাম কারাগারে দুধ সরবরাহ ও বেশি দামে দুধ বিক্রির অভিযোগ ওঠার পর নিজ খামারের সব গরু বিক্রি করে দিয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগের কারা উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) টিপু সুলতান।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ১২ লাখ টাকায় তিনি খামারে থাকা গরু–বাছুর বিক্রি করে দেন। এতে কার্যত খামারটি বন্ধ হয়ে পড়েছে।
খামারের পরিচ্ছন্নতাকর্মী আবদুর রশিদ বুধবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে বলেন, ‘স্যারের খামারে থাকা সব গরু বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের গরুর খামারে আর কোনো কাজ নেই।’
এর আগে অভিযোগ উঠে চট্টগ্রাম কারাগারে নিজের খামারের দুধ বিক্রি করছেন ডিআইজি টিপু সুলতান। অথচ কারাগারে বাইরে থেকে দুধসহ রান্না করা কোনো খাবার কারাবন্দীদের দেওয়ার নিয়ম নেই। গোপালগঞ্জের বাসিন্দা ডিআইজি প্রিজন টিপু সুলতান সে নিয়ম মানেননি। ১০ মাস ধরে নিয়মিত তার খামার থেকে গড়ে ২০ লিটার করে দুধ কারা ক্যান্টিনে সরবরাহ করা হতো। বাইরে খুচরা মূল্য ৮০ টাকা লিটার, পাইকারি দর ৭০ থেকে ৭৫ টাকা। ডিআইজি প্রিজন কারাগারে বিক্রি করেছেন ১০০ টাকা দরে। সেই হিসাবে দৈনিক ২ হাজার টাকা এবং প্রতি মাসে ৬০ হাজার টাকার দুধ বিক্রি করতেন তিনি।
কারাগার সূত্র জানায়, নগরীর কোতোয়ালি থানাধীন লালদীঘির পাড়ে ডিআইজি প্রিজনের কার্যালয় চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সীমানা দেয়ালের সঙ্গে লাগোয়া। তার জন্য নির্ধারিত বাংলোর সামনে ১৩টি গাভি নিয়ে গড়ে তোলেন ডেইরি খামার। খামারের দেখাশোনায় নিয়োজিত আছেন সরকারি বেতনভুক্ত কারাগারের চার পরিচ্ছন্নতাকর্মী। যারা কারাগারে সুইপারের দায়িত্ব পালন করেন। কারাগারের ৯ পরিচ্ছন্নতাকর্মীর চারজনই নিয়োজিত আছেন ডেইরি ফার্মের গাভির পরিচর্যায়।
তবে এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুধ বিক্রি প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম বিভাগের ডিআইজি প্রিজন টিপু সুলতান সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, নিজের ফার্ম থেকে উৎপাদিত দুধ কারাগারে অল্পই সরবরাহ করা হয়। লিটারপ্রতি দাম রাখা হয় কম। এতে কোনো ধরনের সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
সূত্র: প্রথম আলো