২০২১ সালে বাউফল সরকারি কলেজ থেকে ডিগ্রি নেন মেহেদি হাসান (২৫)। তারপর সোনার হরিণ চাকরির পেছনে না ছুটে পৈত্রিক জমিতে গড়ে তোলেন বোম্বাই মরিচের খামার। এরপর থেকেই পটুয়াখালীর হাটবাজারে সুবাস ছড়াচ্ছে মেহেদির বোম্বাই মরিচ।
জানা গেছে, নিজ এলাকা পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার মদনপুরা ইউনিয়নের চন্দ্রপাড়া গ্রামের ৬ শতক জমিতে শুরু করেন বোম্বাই মরিচের চাষ। শুরুর দিকে লাভ কম হলেও গত মৌসুমেই এ মরিচ বিক্রি করে তিনি আয় করেছেন তিন লাখ টাকার বেশি। যেখানে তার খরচা গেছে মাত্র ৫০ হাজার টাকা। জেলা-উপজেলার হাটগুলোতে সরবরাহ হওয়ার কারণে মেহেদির সুগন্ধি মরিচ হিসেবেই পরিচিত পেয়েছে তার চাষের মরিচ।
মেহেদি হাসান বলেন, প্রথম বছর লাভের পরিমান কম ছিলো। পরে বিশেষ পদ্ধতি অনুসরন করে সুগন্ধি বোম্বাই মরিচের বীজ সংরক্ষন করে নিজেই চারা তৈরি শুরু করি। গত মৌসুমে ২ শত ৪৭টি চারা রোপন করেছি। সেখানে খরচ হয় ৫০ হাজার টাকা। তা থেকে ৩ লাখ টাকার মরিচ বিক্রি করেছি। চলতি মৌসুমেও ফলন ভালো হয়েছে।
মেহেদির মরিচ বাগান ঘুরে দেখা গেছে, নিজের বাগান থেকে বিশেষ পদ্ধতিতে বীজ সংগ্রহ করে উৎপাদন করছেন চারা। সেই চারা আবার বাগানেই রোপণ করা হচ্ছে। কেবল মরিচ নয়, খামারে উৎপাদিত বাড়তি চারাগুলো বিক্রি করছেন বাইরে। গাছের গুনগতমান ও দুর্যোগ থেকে গাছ রক্ষা করতে ক্ষেতের ওপর দিয়েছেন পলিথিন শেড।
বাউফল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মিলন বলেন, মেহেদি হাসানের মরিচ সুগন্ধি বোম্বাই মরিচ একেবারেই ভিন্ন একটা সুগন্ধ রয়েছে। আমরা চাই কৃষি পেশায় মেহেদির মতো শিক্ষিত যুবকরা এগিয়ে আসুক।