বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
The Daily Ittefaq

বইমেলায় তরুণ উদ্যোক্তা ফাহাদের ‘স্ট্রাগল কোম্পানি টু স্ট্যাবল কোম্পানি’ 

আপডেট : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২১:০১

একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে তরুণ উদ্যোক্তা মাহমুদ আল ফাহাদের বই ‘স্ট্রাগল কোম্পানি টু স্ট্যাবল কোম্পানি’। নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আবাসন খাতে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হয়ে ওঠা ফাহাদ বইটিতে মূলত নতুনদের সাহস যুগিয়েছেন।

বইটি প্রকাশ করেছে সাহিত্যদেশ প্রকাশনী। বইমেলায় ৫৯৪-৫৯৫ নাম্বার স্টলে এটি পাওয়া যাবে।

দেশের প্রেক্ষাপটে ৬-৭ ধরনের ব্যবসার উদাহরণ তুলে ধরে বইয়ে ফাহাদ দেখিয়েছেন কীভাবে সঠিক পরিকল্পনার অভাবে উদ্যোগ মুখ থুবড়ে পড়ে। তবে, এসব উদ্যোগ টিকিয়ে রাখার কৌশলও তিনি ব্যাখ্যা করেছেন। ভালো ব্যবসায়ী হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ৭টি গুণ এবং ১৫টি বাস্তবভিত্তিক পরামর্শ উল্লেখ করে বইটির প্রথম অধ্যায়ে নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা প্রদান করেছেন।

দ্বিতীয় অধ্যায়ে তিনি নিজের জীবন থেকে প্রথম ১১ বছরের শিক্ষা এবং শেষ ৩ বছরের পরিকল্পিত সফল পদক্ষেপগুলোর গল্প উল্লেখ করেছেন। এতে তিনি দেখিয়েছেন, সতর্ক প্রচেষ্টায় কীভাবে একটি স্ট্রাগল কোম্পানি স্ট্যাবল কোম্পানিতে রূপান্তরিত হতে পারে।

২০১৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউট থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন মো. মাহমুদ আল ফাহাদ। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় থেকেই ব্যবসার প্রতি বেশি ঝোঁক ছিল বলে তিনি অ্যাকাডেমিক পরীক্ষায় দুইবার অকৃতকার্য হন। এতে সময় বেশি লেগে যায়। তবে এইসময়ের মধ্যে শিক্ষক অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ ও বন্ধু ফয়সাল ও আজিমের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে তার। পরে তারাই হয়ে ওঠেন ফাহাদের পার্টনার।

উদ্যোক্তা ফাহাদের কাজের অভিজ্ঞতা বেশ বিচিত্র। একটি জাতীয় দৈনিকে ফিচার লেখক হিসেবে কাজ করেছেন কিছুদিন। এরপর সমবায় সমিতি এবং ছোট ছোট প্রজেক্টের সহ-উদ্যোক্তা হিসেবে ব্যবসা শুরু করেন। ২০১০ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ফ্যাশন, খাদ্যপণ্য, আইটিসহ ছোট ও মাঝারি প্রায় ১৪টি ব্যবসার উদ্যোগ দেখার অভিজ্ঞতা হয় এবং কয়েকটিতে পার্টনার হিসেবে জড়িত ছিলেন। অন্যদিকে ২০১২ সালে ফাহাদ দুই বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে ‘জুবিয়ন সেভিংস অ্যান্ড ক্রেডিট কো-অপারেটিভ সোসাইটি’ শুরু করেছিলেন। পরে এটিকে আরও পরিশীলিত করার কথা ভেবে অন্য সব উদ্যোগ থেকে সরে আসেন, এবং ২০১৮ সালে জুবিয়ন লিমিটেডের সিইও হিসেবে দায়িত্ব নেন। ঢাকা জেলার সাভার-ধামরাই এলাকার অন্যতম বৃহত্তম হাউজিং প্রকল্প ‘আকসির নগর’ তৈরি করেন তারা। এরপর ২০২১ সালে গড়ে তোলেন জুবিয়ন ডেভেলপমেন্ট সলিউশনস লিমিটেড।

আবাসন খাতে ‘স্ট্যাবল কোম্পানি’ হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি নান্দনিক, ব্যতিক্রমী ও মানসম্মত স্থাপনা নির্মাণ করছে। ইতোমধ্যেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে বেশকিছু প্রকল্প। দেশের খ্যাতনামা স্থপতি ও প্রকৌশলীরা জুবিয়নের পরামর্শক হিসেবে যুক্ত আছেন। 

ইত্তেফাক/এসএএস