আফ্রিকার দেশ সুদানের দক্ষিণাঞ্চলে আধা-সামরিক বাহিনীর হামলায় তিনদিনে একাধিক গ্রামের নারী ও শিশুসহ দুই শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সুদানের যুদ্ধ পর্যবেক্ষণকারী আইনজীবীদের দ্য ইমার্জেন্সি লইয়ার্স নামে একটি গোষ্ঠী এই তথ্য জানিয়েছে।
দ্য ইমার্জেন্সি লইয়ার্স বলেছে, হোয়াইট নীল রাজ্যের আল কাদারিস ও আল-খেলওয়াত গ্রামে নিরস্ত্র বেসামরিক লোকজনের ওপর হামলা চালিয়েছে আধা-সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)। শনিবার থেকে ওই দুই গ্রামে অভিযান শুরু করেছে আরএসএফ। এ সময় বেসামরিক নাগরিকদের গুলি করে হত্যা, অপহরণ, জোরপূর্বক গুম ও বাড়িঘরে লুটপাট চালিয়েছে বাহিনী। গত তিনদিনে ওই এলাকার শত শত মানুষ আহত অথবা নিখোঁজ হয়েছেন।
স্থানীয় এই মানবাধিকার সংস্থা বলেছে, নীল নদ পাড়ি দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টার সময় বেসামরিক বাসিন্দাদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস। এ সময় অনেক লোকজন পানিতে ডুবে গেছেন। বেসামরিক নাগরিকদের ওপর আধা-সামরিক বাহিনীর হামলার এই ঘটনাকে গণহত্যা বলে অভিহিত করেছে দ্য ইমার্জেন্সি।
সুদানের নিয়ন্ত্রণের জন্য দেশটির সেনাবাহিনী ও আধা-সামরিক বাহিনীর জেনারেলদের মাঝে ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে লড়াই চলছে। সুদানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, এখন পর্যন্ত আরএসএফের হামলায় শিশুসহ ৪৩৩ নাগরিক নিহত হয়েছেন। হামলার এই ঘটনাকে ‘‘ভয়ঙ্কর গণহত্যা’’ বলে অভিহিত করেছে মন্ত্রণালয়।
দেশটির বিভিন্ন এলাকা সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অন্যদিকে প্রতিদ্বন্দ্বী আধা-সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) খার্তুম উত্তর ও রাজধানীর অন্যান্য কিছু এলাকার দখল নিয়েছে।
ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি জানিয়েছে, এই সংঘাতে ১ কোটি ২০ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। যে কারণে দেশটিতে সর্বকালের বৃহত্তম মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে ।