শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২
The Daily Ittefaq

‘র’-এর ওপর নিষেধাজ্ঞার সুপারিশ মার্কিন সংস্থার

আপডেট : ২৬ মার্চ ২০২৫, ২০:৩০

ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইংয়ের (র) ওপর সুনির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞা আরোপের সুপারিশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক সংস্থা কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম (ইউএসসিআইআরএফ)। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় খালিস্তানপন্থি নেতাদের গুপ্তহত্যার ষড়যন্ত্রে র-এর জড়িত থাকার অভিযোগে এই সুপারিশ করে সংস্থাটি।

সংস্থাটির ২০২৫ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে এই সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। একইসঙ্গে, ভারতে সংখ্যালঘু মুসলমানরা দিন দিন অমানবিক আচরণের শিকার হচ্ছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

২০২৩ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের হত্যাচেষ্টা করছে, ভারতের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করে আসছে ওয়াশিংটন ও অটোয়া। এর প্রেক্ষিতে উত্তর আমেরিকার দেশ দুটির সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কে শীতলতা বিরাজ করছে।

ওয়াশিংটন যুক্তরাষ্ট্রে একাধিক শিখ নেতাকে হত্যার ব্যর্থ চেষ্টার অভিযোগে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক কর্মকর্তা বিকাশ যাদবকে অভিযুক্ত করেছে। ভারত যদিও শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ‘নিরাপত্তার জন্য হুমকি’ হিসেবে দেখে তবে দেশটির কর্তৃপক্ষ তাদের হত্যাচেষ্টার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
 
এমন প্রেক্ষিতে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা র-এর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সুপারিশ করল ইউএসসিআইআরএফ। তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, ওয়াশিংটন দীর্ঘদিন ধরে নয়াদিল্লিকে এশিয়া ও অন্যান্য অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের পাল্টা হিসেবে দেখে আসছে এবং সে কারণেই ভারতে মানবাধিকারের বিষয়গুলো এড়িয়ে গেছে।
 
প্রতিবেদন ভারতের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়েছে, ‘২০২৪ সালে ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতার পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে কারণ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও বৈষম্য বেড়েই চলেছে।’ 
 
সেই সঙ্গে ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘনের কারণে ভারতকে ‘বিশেষ উদ্বেগের দেশ’ হিসেবে চিহ্ণত করার জন্য মার্কিন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে মার্কিন কমিশন।
 
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, হিন্দু জাতীয়তাবাদী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তার ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) গত বছরের নির্বাচনী প্রচারণায় ‘মুসলিমসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছে ও ভুল তথ্য ছড়িয়েছে।’ 
 
ইউএসসিআইআরএফ উভয়দলীয় সরকারি সংস্থা। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে ধর্মীয় স্বাধীনতা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে এবং করণীয় সুপারিশ করে। তবে নয়াদিল্লি এ প্রতিবেদনকে ‘গভীরভাবে পক্ষপাতদুষ্ট’ বলেছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি বরাবরই ধর্মীয় বৈষম্য ও নিপীড়নের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। 

ইত্তেফাক/এনএন