ফিলিস্তিনের গাজাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে অবিলম্বে গণহত্যা ও জবরদখল বন্ধে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদা দল। একইসঙ্গে ‘No Work, No School Until Genocide Stops' কর্মসূচির প্রতি সংহতি জানিয়েছে সংগঠনটি।
সোমবার (৭ এপ্রিল) সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান এবং যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আব্দুস সালাম ও অধ্যাপক ড. আবুল কালাম সরকার সাক্ষরিত এক বিবৃতি সংহতি জানায় সংগঠনটি।
ওই বিবৃতিতে তারা বলেন, গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসন, দখলদারিত্ব এবং নির্মম গণহত্যা যেন গোটা বিশ্বের সচেতন মানুষকে বাকরুদ্ধ করে তুলেছে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর রক্তপিপাসু নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া এখন শুধু মানবিক দায়িত্ব নয়, বরং এটি মুসলমান এবং মানুষ হিসেবে সকলের কর্তব্য। গাজার নিপীড়িত জনগণ যখন রক্তাক্ত, তখন ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নেওয়া প্রতিটি বিবেকবান মানুষের দায়িত্ব। তা না হলে মানবসভ্যতার কাছে আমাদের জবাবদিহি করতে হবে। অবিলম্বে ইসরাইলের গণহত্যা ও জবরদখল থামাতে হবে।
সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলেন, গাজা থেকে ঘোষিত ‘No Work, No School Until Genocide Stops' এই ডাক শুধু একটি স্লোগান নয়, এটি মানবতার পক্ষ থেকে একটি চূড়ান্ত আহ্বান। বহুকাল ধরে নির্যাতিত-নিপীড়িত গাজাবাসীর এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে আজ সোমবার বিশ্বব্যাপী ডাকা হরতালের সঙ্গে আমরা পূর্ণ সংহতি ঘোষণা করছি।
তারা আরও বলেন, আমরা আহ্বান জানাচ্ছি- দল-মত নির্বিশেষে, কোনো রাজনৈতিক বা অরাজনৈতিক ব্যানারে নয়, বরং বাংলাদেশ ব্যানারে সবাই যেন রাজপথে নেমে দাঁড়িয়ে এই হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ ও জনমত গড়ে তুলি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস, আদালত-সবকিছু বন্ধ রেখে, সক্রিয়ভাবে রাজপথে দাঁড়ানো হোক গাজার জন্য, নিপীড়িত ফিলিস্তিনিদের জন্য।
ঢাবি সাদা দলের নেতারা বলেন, আমরা হয়তো সরাসরি গাজায় গিয়ে লড়তে পারছি না, কিন্তু নিজেদের দেশে একসঙ্গে দাঁড়িয়ে ফিলিস্তিনীদের সংগ্রামের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করতে পারি। প্রত্যেকে যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে এসে এই কর্মসূচিকে সফল করুন। এ আন্দোলন হোক কোনো গোষ্ঠীর হয়ে নয়, মানবতার পক্ষে।