বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২
The Daily Ittefaq

বঙ্গোপসাগরে দশ ট্রলারে ডাকাতের হানা, আহত ৫০

আপডেট : ১০ এপ্রিল ২০২৫, ১৯:১৮

বরগুনার পাথরঘাটা থেকে ১২০ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগরের বড় বাইজদা এলাকায় মাছ ধরার ট্রলারে গণডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় অন্তত ১০টি মাছ ধরার ট্রলারে নির্বিচারে গুলি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ডাকাতদের মারধর ও গুলিতে অন্তত ৫০ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে।

বুধবার (৯ এপ্রিল) গভীর রাতে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী।

ডাকাতি হওয়া ট্রলারের মধ্যে পাথরঘাটার সগির কোম্পানির মালিকানাধীন এফবি তারেক-২, এফবি তুফান-২ ও সেলিম চৌধুরীর মালিকানাধীন এফবি মা ট্রলার রয়েছে। এ সময় অন্তত ১০ টি ট্রলারে ডাকাতদল হানা দেয় বলে জেলেদের বরাতে জানিয়েছেন ট্রলার মালিকরা।

জেলেদের বরাতে ট্রলার মালিকরা জানান, অন্তত ১০টি ট্রলারে হানা দেয় ডাকাত দল। এসব ট্রলারে শতাধিক জেলে ছিলেন। ডাকাতিতে বাধা দেওয়ায় ডাকাতরা নির্বিচারে গুলি চালায়। অন্তত ৫০ জন জেলে ডাকাতদের মারধর ও গুলিতে আহত হয়েছে। জেলেদের সবার বাড়ি বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়।

এফবি মা ট্রলারের মাঝি মনির হোসেনের বরাতে মালিক সেলিম চৌধুরী বলেন, বুধবার গভীর রাতে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার সময় হঠাৎ সশস্ত্র হামলা চালায় জলদস্যু বাহিনী। এ সময় জেলেরা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে জলদস্যুরা জেলেদের দূর থেকে নির্বিচারে গুলি ছোড়ে। পরে জলদস্যুরা ট্রলারে উঠে জেলেদের মারধর করে। এতে দশটি ট্রলারের অন্তত ৫০ জন জেলে আহত হয়। প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক ট্রলারের জেলেরা আমাদেরকে ফোনে এই তথ্য জানিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার পর আমাদের জেলেদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। তারা ভাসতে ভাসতে নেটওয়ার্কের বাহিরে চলে গেছে। তারা বর্তমানে কি অবস্থায় আছে বা চিকিৎসা নিতে পেরেছে কিনা এমন খবর পাইনি।

বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জানান, সশস্ত্র ডাকাতরা প্রায় কোটি টাকার মালামাল লুট করে ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল করে দিয়েছে। এছাড়া ট্রলারে থাকা ওয়্যারলেস নিয়ে গেছে। ডাকাতির শিকার জেলেরা ভ্যাসেল জাহাজের (স্টিলের তৈরি বড় আকারের মাছ ধরার ট্রলিং) মাধ্যমে উপকূলে ট্রলার মালিক সমিতিতে সংবাদ পাঠিয়েছে। তবে ডাকাতির শিকার ট্রলারগুলো এখন কি অবস্থায় কোথায় বা কেউ হতাহত হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানো হয়েছে।

বরগুনা জেলা পুলিশ সুপার মো. ইব্রাহিম খলিল বলেন, মালিকদের পক্ষ থেকে ডাকাতির খবর আমরা জানতে পেরেছি। এখনই বিস্তারিত জানানো যাচ্ছে না। এ নিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

ইত্তেফাক/এপি