ফিলিস্তিনিদের উপর ইসরায়েলের বর্বর হামলার প্রতিবাদে রাজধানী ঢাকায় শনিবার (১২ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত হবে ‘মার্চ ফর গাজার’। আর ‘মার্চ ফর গাজার’ সমর্থনে হাটহাজারীর মেখলে শুক্রবার (১১ এপ্রিল) আসরের পরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে মেখলের তৌহিদী জনতা।
এই সমাবেশ থেকে বক্তারা ইসরায়েলের পণ্য বয়কটের আহবান করা হয়েছে। মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, মজলুম ফিলিস্তিনিদের রক্ত কোনোভাবেই বৃথা যাবে না। বরং শহীদদের রক্তের পথ ধরেই বিজয় এবং স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হবে। ইসরায়েলি বাহিনী নির্বিচারে গণহত্যা চালিয়ে হাজার হাজার নিরাপরাধ গাজাবাসীকে হত্যা করেছে। মূলত ইসরায়েলি বর্বরতা হালাকু খানের বাগদাদ ধ্বংসের নির্মমতা ও নিষ্ঠুরতাকে হার মানিয়েছে। গাজায় তাদের হামলা রীতিমতো যুদ্ধাপরাধের শামিল। বর্বর হামলার জন্য ইসরায়েলি বাহিনীকে একদিন বিচারের সম্মুখীন হতে হবে। অবিলম্বে গাজায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধ করতে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান। অন্যথায় বিশ্বমুসলিমরা ঘরে বসে তামাশা দেখবে না।
মূলত স্বাধীন-সার্বভৌম ফিলিস্তিনই মধ্যপ্রাচ্য সংকটের অদ্বিতীয় সমাধান। তাই মুসলিম উম্মাহ স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের পক্ষেই রয়েছে। কিন্তু ইহুদিবাদী দখলদাররা ভূমিপুত্রদের সেখান থেকে উৎখাত করার জন্য নির্বিচারে গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের জিঘাংসা ও প্রতিহিংসা থেকে রেহাই পাচ্ছে না নিরাপরাধ নারী, শিশু ও বৃদ্ধরাও। এমনকি জায়নবাদী বর্বরতার শিকার হচ্ছে মসজিদ, গির্জা, হাসপাতাল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সর্বোপরি তারা রাফায় হামলার হুমকি দিয়ে পুরো পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে। তাই ইহুদীবাদীদের এই নির্মমতার বিরুদ্ধে মুসলিম উম্মাহকে সোচ্চার ভূমিকা পালন করতে হবে।