ইরানের ইসলামী বিপ্লবের নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বলেছেন, পশ্চিমা শক্তিগুলো নিজেদেরকে সবচেয়ে মারাত্মক এবং আক্রমণাত্মক ধরণের অস্ত্র রাখার অধিকারী বলে মনে করে, অন্যদিকে স্বাধীন দেশগুলোকে প্রতিরক্ষামূলক অস্ত্র রাখার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
রোববার (১৩ এপ্রিল) সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডার এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে আয়াতুল্লাহ খামেনি আরও বলেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে, বিশেষ করে প্রতিরক্ষা খাতে ইরানের অগ্রগতিতে 'অশুভ কামনাকারীরা' হতাশ।
তিনি আরও বলেন, সশস্ত্র বাহিনী দেশের ঢাল এবং যে কোনো আগ্রাসীর বিরুদ্ধে জাতির আশ্রয়স্থল।
সশস্ত্র বাহিনীর প্রস্তুতি, অস্ত্রশস্ত্র এবং সাংগঠনিক সক্ষমতার প্রশংসা করার পাশাপাশি খামেনি তাদের 'জাতীয় কর্তব্য' কার্যকরভাবে পালনের জন্য 'সফ্টওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার-সম্পর্কিত ব্যবস্থা' গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, হার্ডওয়্যারের পাশাপাশি, প্রতিকূল প্রচেষ্টা মোকাবেলায় সফ্টওয়্যার প্রস্তুতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ইরানের বিরুদ্ধে শত্রুদের ষড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ করে সর্বোচ্চ নেতা বলেন, ইরানের শাসন ব্যবস্থার ইসলামী ও স্বাধীন প্রকৃতিই শত্রুদের শত্রুতার কারণ। 'ইসলামী প্রজাতন্ত্র' নামটি শত্রুদের বিরক্ত করে না, বরং একটি দেশের মুসলিম ও স্বাধীন পরিচয় থাকা এবং তার মর্যাদার জন্য অন্যের ওপর নির্ভর না করার ইচ্ছাই তাদের বিরক্ত করে।
খামেনি সশস্ত্র বাহিনীকে 'স্রষ্টার প্রতি বিশ্বাস, সাহস এবং আস্থা' বজায় রাখার আহ্বান জানান এবং সতর্ক করে দেন, যেসব সেনাবাহিনীতে এই ধরণের বৈশিষ্ট্যের অভাব ছিল, তারা ইতিহাসজুড়ে ব্যর্থতার সম্মুখীন হয়েছে।
তিনি বলেন, অবশ্যই, কিছু বাস্তব অর্থনৈতিক সমস্যাও রয়েছে, যা সমাধান করা আবশ্যক। কিন্তু দেশের অর্জিত 'অসাধারণ অগ্রগতি'কে ছাপিয়ে যাওয়া উচিত নয়।
আয়াতুল্লাহ খামেনি ইরানের বিরুদ্ধে পশ্চিমা গণমাধ্যমের পক্ষপাতিত্বের কথাও উল্লেখ করে বলেন, তারা যা 'সত্য' করতে চায়, তা প্রকৃত সংবাদ হিসেবে প্রকাশ করে। এই প্রচারণার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।
বৈঠকের শুরুতে, ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফস অফ স্টাফের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাকেরি দেশের প্রতিরক্ষা এবং প্রতিরোধ ক্ষমতার রূপরেখা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, জাতির সমর্থনে সশস্ত্র বাহিনী সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত।