মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
The Daily Ittefaq

প্রতিবেশী দেশের কিছু ঘটনার কারণে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বন্ধ: ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

আপডেট : ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ২৩:১৫

ভারতের স্থলবন্দর ব্যবহার করে ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে তৃতীয় দেশে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির সুবিধা বন্ধের পেছনে যে প্রতিবেশী দেশের কিছু ঘটনা রয়েছে, ভারত তা স্পষ্ট করে দিল।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এসংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ওই সিদ্ধান্তের আগের কিছু ঘটনা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। তাহলে ছবিটা পূর্ণ ও স্পষ্ট হবে। কোন ‘ঘটনাবলি’ খতিয়ে দেখা প্রয়োজন সে বিষয়টি মুখপাত্র অবশ্য উহ্য রাখেন।

ভারতের সরকারি সূত্র অনুযায়ী, গত মার্চ মাসেই বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানি বন্ধ করার সুপারিশ করেছিল। কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছিল অবকাঠামোজনিত সমস্যা। যদিও সেই সিদ্ধান্ত রূপায়িত হয় ভারত তার স্থলবন্দর দিয়ে তৃতীয় দেশে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ার পর। ওই সিদ্ধান্তের কয়েক দিনের মধ্যেই বাংলাদেশ গত মার্চ মাসে গৃহীত সিদ্ধান্ত রূপায়ণ করে।

সরকারি সূত্রের মতে, যাতে সমুদ্রবন্দর দিয়ে পাকিস্তানি সুতা আমদানি করা সম্ভব হয়, সে জন্য বাংলাদেশ ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল অন্য এক প্রশ্ন প্রসঙ্গে আজ মনে করিয়ে দেন, ভারতের ওই সিদ্ধান্তের আওতায় অবশ্য নেপাল ও ভুটানের মতো স্থলবেষ্টিত রাষ্ট্র পড়ছে না। ওই দুই দেশে বাংলাদেশি পণ্য যথারীতি সরবরাহ হবে। এর ফলে দক্ষিণ এশিয়ায় এর কোনো প্রভাব পড়বে না।

অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে জয়সোয়াল মনে করিয়ে দেন, ভারত বারবার বলেছে, বাংলাদেশের সঙ্গে এক ‘ইতিবাচক ও গঠনমূলক’ সম্পর্ক চায়। ‘গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক’ বাংলাদেশ দেখতে ভারত আগ্রহী।

আজ পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালুচ বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসেন। দীর্ঘ ১৫ বছর পর আবার দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টায় এই সফর।

চলতি মাসেই বাংলাদেশে আসবেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। এ বিষয়টি ভারত কোন চোখে দেখছে জানতে চাওয়া হলে মুখপাত্র বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের নজরে রয়েছে।’ এর বাইরে তিনি অন্য কোনো মন্তব্য করেননি।

ইত্তেফাক/এএম