বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক মুহসিন উদ্দিনকে সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যপদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রতিবাদে একদল শিক্ষার্থী সমাবেশ করেছে। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের নিচতলায় এই কর্মসূচি পালিত হয়।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, অধ্যাপক মুহসিন উদ্দিন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র অধ্যাপক যিনি জুলাই আন্দোলনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। তাকে ‘স্বৈরাচারের দোসর’ আখ্যা দিয়ে অব্যাহতি দেওয়া সম্পূর্ণ অন্যায় ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী নাফিজ আল জাহাঙ্গীর বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনের সময় অধ্যাপক মুহসিন উদ্দিন আমাদের পাশে ছিলেন। তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন এবং ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে উদ্ভূত। তিনি নিজেই পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছিলেন, তখন তাকে অব্যাহতি দেওয়া যেত। এখন এই পদক্ষেপ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য পূরণের জন্য নেওয়া হয়েছে।’
ইংরেজি বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী আতিক আব্দুল্লাহ বলেন, ‘উপাচার্য আমাদের সম্মানিত শিক্ষকের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছেন, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আমাদের শিক্ষকের যথাযথ মূল্যায়ন না হলে আমরা আরও কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।’
প্রসঙ্গত, গত ১৩ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শুচিতা শরমিনের নির্দেশে রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামের স্বাক্ষরিত একটি নোটিশে অধ্যাপক মুহসিন উদ্দিনের বিরুদ্ধে স্বৈরাচারের দোসরসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে তাকে সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যপদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এর আগে, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী উপাচার্যের বাসভবনের প্রধান ফটক ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। ওই সময় উপাচার্যের বাসভবনে সিন্ডিকেট সভা চলছিল। সভায় উপস্থিত না থেকে অধ্যাপক মুহসিন উদ্দিন শিক্ষার্থীদের পক্ষে অবস্থান নেন এবং উপাচার্যের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ উঠেছিল।
