সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২
The Daily Ittefaq

‘গাজা সফর করা’ ভিসা আবেদনকারীর সোশ্যাল মিডিয়া খতিয়ে দেখার নির্দেশ ট্রাম্প প্রশাসনের

আপডেট : ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৪:৫০

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা আবেদনকারীদের মধ্যে যারা ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি বা পরে গাজায় গিয়েছেন, তাদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন।

নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, অভিবাসী এবং অ-অভিবাসী—সব ধরনের ভিসাধারী এই যাচাই-বাছাইয়ের আওতায় পড়বেন। এতে বেসরকারি সংস্থার কর্মী, সরকারি বা কূটনৈতিক কাজে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে যাওয়া ব্যক্তিরাও অন্তর্ভুক্ত থাকবেন—তারা যত অল্প সময়ের জন্যই সেখানে অবস্থান করে থাকুন না কেন।

বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিশ্বের সব কূটনৈতিক ও কনস্যুলার মিশনে এ সংক্রান্ত একটি তারবার্তা পাঠায়, যা বার্তা সংস্থা রয়টার্সের হাতে এসেছে।

তারবার্তায় বলা হয়,

“সোশ্যাল মিডিয়া পর্যালোচনায় যদি নিরাপত্তা-সম্পর্কিত কোনো সন্দেহজনক বা ক্ষতিকর তথ্য উঠে আসে, তাহলে আবেদনকারীকে ‘সিকিউরিটি অ্যাডভাইজরি ওপিনিয়ন’ (এসএও) দাখিল করতে হবে।”

এসএও একটি আন্তঃসংস্থাগত তদন্ত প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়—আবেদনকারী যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি কিনা।

ট্রাম্প প্রশাসন এর আগেও ১৯৫২ সালের অভিবাসন আইনের আওতায় বৈধ স্থায়ী বাসিন্দাসহ বহু ব্যক্তির ভিসা বাতিল করেছে। ওই আইনে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ক্ষমতা রয়েছে, কোনো অভিবাসীর উপস্থিতি দেশের পররাষ্ট্রনীতির জন্য ক্ষতিকর মনে হলে তাকে বহিষ্কার করার।

১৭ এপ্রিল পাঠানো সর্বশেষ ওই বার্তায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর স্বাক্ষর রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য প্রত্যেক আবেদনকারীকে কঠোর নিরাপত্তা যাচাইয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়।”

গাজা যুদ্ধ নিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অবস্থান এবং ফিলিস্তিনের পক্ষে কথা বলার কারণে ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা শিক্ষার্থী ভিসাধারী অনেককে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। কেউ কেউ আটকও হয়েছেন।

মার্কিন কর্মকর্তারা এসব অবস্থানকে দেশের পররাষ্ট্রনীতির স্বার্থে হুমকি হিসেবে দেখলেও, ট্রাম্প প্রশাসনের সমালোচকরা বলছেন—এটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি হস্তক্ষেপ।

ইত্তেফাক/এনএন