বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
The Daily Ittefaq

কঙ্গোতে ‘রান্নার চুলা’ থেকে নৌকায় আগুন, ১৪৩ মরদেহ উদ্ধার

আপডেট : ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৩৩

আফ্রিকার দেশ গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোতে একটি নৌকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত ১৪৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন বেশ কয়েকজন। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দেশটির ইকুয়েটুর প্রদেশের রাজধানী এমবানডাকার কাছে কঙ্গো নদীর সংযোগস্থলে এ বিপর্যয় ঘটে।

এএফপিকে দেশটির কর্মকর্তা জোসেফিন-প্যাসিফিক লোকুমু জানান, দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে কঙ্গো নদীতে ওই কাঠের নৌকাটিতে কয়েক শ আরোহী ছিলেন। নৌকাটিতে জ্বালানি ছিল। আগুন লাগার পর নৌকাটি নদীতে উল্টে যায়।
প্রথম ধাপে গত বুধবার ১৩১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরদিন বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার আরও ১২ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে। তাদের অনেকেই আগুনে পুড়ে গেছেন।

স্থানীয় নাগরিক সমাজের একজন নেতা জোসেফ লোকোন্দো জানান, তিনি মরদেহগুলোর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় সহায়তা করেছেন। জোসেফ বলেন, প্রাথমিকভাবে নিহতের সংখ্যা ১৪৫ জন। তাদের কেউ কেউ পুড়ে গেছেন। কেউবা পানিতে ডুবে মারা গেছেন।

এ বিপর্যয়ের কারণ হিসেবে প্রাথমিকভাবে নৌকায় রান্নার আগুনকে চিহ্নিত করেছেন লোকুমু। তিনি বলেন, নৌকাটিতে একজন নারী রান্নার জন্য আগুন জ্বালিয়েছিলেন। পাশেই ছিল নৌকার জ্বালানি। বিস্ফোরণ হলে আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং অনেক নারী ও শিশুর মৃত্যু হয়।

নৌকাটিতে ঠিক কতজন আরোহী ছিলেন, সেটা জানা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে লোকুমু বলেন, ‘সংখ্যাটি কয়েক শ।’ তিনি জানান, বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার লোকুমু জানান, এখনো কিছু পরিবার তাদের স্বজনদের খোঁজ পাননি।  

মধ্য আফ্রিকার দেশ গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোতে সড়ক পরিবহনব্যবস্থা বেশ নাজুক। সেখানে পর্যাপ্ত ব্যবহারযোগ্য রাস্তা নেই। এর ফলে অনেক মানুষ হ্রদ, কঙ্গো নদী এবং এর উপশাখাগুলোয় নৌকায় যাতায়াত করেন। প্রায়ই নৌকাডুবির খবর পাওয়া যায়। এসব ঘটনায় হতাহতের সংখ্যাও বেশি হয়। ক্ষতিগ্রস্ত নৌকাগুলোয় যাত্রীদের যথাযথ তালিকা না থাকায় উদ্ধার কার্যক্রম জটিল হয়ে পড়ে।

এর আগে ২০২৩ সালে গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোর ইকুয়েটুর প্রদেশে একটি নৌকা ডুবে অন্তত ৪৭ জন নিহতের খবর পাওয়া গিয়েছিল। গত বছরের অক্টোবরে দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় হ্রদ কিভুতে একটি নৌকা উল্টে ২০ জনের বেশি নিহত হন বলে জানায় স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। ২০১৯ সালে এই হ্রদে আরেকটি নৌকাডুবির ঘটনায় প্রায় ১০০ মানুষের মৃত্যুর খবর জানা গিয়েছিল।

ইত্তেফাক/কেএইচ