ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের সংঘর্ষ এড়াতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে উভয় কলেজের অধ্যক্ষ পর্যায়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এ ধরনের সংঘর্ষ এড়াতে এই দুই কলেজসহ ধানমন্ডি এলাকার আরও তিনটি কলেজ মিলে একটি সমঝোতা চুক্তি হবে। সেই সমঝোতা চুক্তি অনুসরণ করলে এই ধরনের সংঘাত-সংঘর্ষ হবে না বলে মনে করছেন তারা।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিকালে ধানমন্ডি মডেল থানায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতিতে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের অধ্যক্ষও উপস্থিত ছিলেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম।
তিনি বলেন, দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে মঙ্গলবার ঘটে যাওয়া সংঘর্ষের সমঝোতার জন্য আমরা বসেছিলাম। সেখানে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক পারভীন সুলতানা হায়দার ও সিটি কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) এফ এম মোবারক হোসাইনসহ আইডিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। আমরা প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ এড়াতে তারা নিজেদের মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি করবেন। আজই একটা হোয়াটঅ্যাপ গ্রুপ করা হয়েছে, সেখানে এই এলাকার দায়িত্বরত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও কলেজের ঊর্ধ্বতনরা আছেন। এখানে সংশ্লিষ্ট তথ্য আদান-প্রদান করা হবে। এই তিন কলেজের সঙ্গে বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক স্কুল এ্যান্ড কলেজ এবং বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক স্কুল এ্যান্ড কলেজও যুক্ত হবে। আশা করি এই চুক্তিনামা মেনে চললে সংঘাত হবে না।
মঙ্গলবারের সংঘর্ষে ঘটনার বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া বিষয়ে জানতে চাইলে ডিসি মাসুদ আলম বলেন, যারা সংঘর্ষে জড়িত তাদের শনাক্ত করে অভিভাবকদের ডেকে এনে শেষবারের মতো তাদের বুঝানো হবে। পরবর্তীতে এ ধরনের ঘটনা জড়িত থাকলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর আগে সংঘর্ষের দিন মামলা অথবা আইনগত বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, আপাতত মামলা না, যেহেতু দুইপক্ষই শিক্ষার্থী। আমরা সমঝোতার মাধ্যমে এটা শেষ করার চেষ্টা করছি।
গত মঙ্গলবার তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় ওই এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এই সংঘর্ষে পুলিশসহ উভয় কলেজের শিক্ষার্থী, পথচারী, সাংবাদিকসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন।