বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দিন দিন বায়ুদূষণের মাত্রা যেন বেড়েই চলেছে। দূষিত শহরের তালিকায় বেশির ভাগ সময়ই শীর্ষ ১০ শহরের মধ্যে অবস্থান করে রাজধানী ঢাকা। তবে আজ বায়ুদূষণের বিশ্বের ১২৫ টি শহরের তালিকায় শীর্ষ ১৫-এ নেই মেগাসিটি ঢাকা। গত কয়েকদিনে ঢাকার বাতাসের মানে বেশ উন্নতি দেখা গেছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজও ঢাকার বাতাস ‘সহনীয়’ পর্যায়ে রয়েছে।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ১০টা নাগাদ আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের তথ্যানুযায়ী,৮২ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ২০তম অবস্থানে রয়েছে রাজধানী ঢাকা।
একই সময়ে, ৪০৩ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ভারতের রাজধানী দিল্লি। এখানকার বাতাসের মান নাগরিকদের জন্যে ‘দুর্যোগপূর্ণ’। এছাড়াও একই তালিকায় ২০৫ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে পাকিস্তানের শহর লাহোর। তৃতীয় অবস্থানে থাকা নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর স্কোর ১৭২ এবং রাজধানী ঢাকা ৮২ স্কোর নিয়ে ২০তম অবস্থানে রয়েছে।
আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, বাতাসের গুণমান নির্ধারণের একিউআই স্কেল অনুযায়ী ০-৫০ ভালো, ৫১-১০০ মাঝারি, ১০১-১৫০ সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর, ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এছাড়া ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়, ৩০১ বা তার বেশি একিউআই স্কোরকে ‘দুর্যোগপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশের একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের কারণে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর অন্তত ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকার বায়ুদূষণ নাগরিকদের জন্যে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াচ্ছে। বাইরে বের হলে মাস্ক পরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া শিশু, প্রবীণ ও অসুস্থ ব্যক্তিদের বাড়ির বাইরে কম বের হতে বলা হয়েছে। শহরে সবুজায়ন ও গাছপালা বৃদ্ধির মাধ্যমে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।