সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
The Daily Ittefaq

কাশ্মীরে হামলার নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্তে অংশ নিতে প্রস্তুত পাকিস্তান: শাহবাজ শরিফ

আপডেট : ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৪:৫৭

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় উত্তপ্ত ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক আরও জটিল আকার ধারণ করছে। তবে এ ঘটনার নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ ও আন্তর্জাতিক তদন্তে অংশ নিতে প্রস্তুতির কথা জানিয়ে শান্তিপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) কাকুলে পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমির একটি প্যারেড অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পেহেলগামের সাম্প্রতিক হৃদয়বিদারক ঘটনার দায় চাপানোর খেলা বন্ধ হওয়া উচিত। একটি দায়িত্বশীল রাষ্ট্র হিসেবে পাকিস্তান যেকোনো নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্তে অংশ নিতে আগ্রহী।’

এই বক্তব্য এমন সময় এলো, যখন ভারতের পক্ষ থেকে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, হামলাকারীদের আন্তঃসীমান্ত যোগসূত্র থাকতে পারে। যদিও পাকিস্তান এ ধরনের অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর বলে দাবি করে আসছে।

পেহেলগামে গত ২২ এপ্রিল সশস্ত্র বন্দুকধারীদের হামলায় প্রাণ হারান অন্তত ২৬ জন, যাদের বেশিরভাগই ছিলেন পর্যটক। এটিকে ২০০০ সালের পর উপত্যকায় সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ নামে এক অজ্ঞাতনামা সংগঠন এ হামলার দায় স্বীকার করেছে।

শাহবাজ শরিফ বলেন, ‘কাশ্মীর পাকিস্তানের ঘাড়ের শিরার মতো। জাতিসংঘের বহু প্রস্তাব থাকা সত্ত্বেও এ বিরোধ আজও মীমাংসিত হয়নি। পাকিস্তান সব সময় কাশ্মীরিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের পক্ষে থাকবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাকিস্তান বড় মূল্য দিয়েছে। আমাদের প্রায় ৯০ হাজার মানুষ হতাহত হয়েছে এবং আমরা ৬০ হাজার কোটি ডলারের বেশি আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েছি।’

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের একদিন আগেই পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফও যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক টাইমস ও স্কাই নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমরা আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের মাধ্যমে পরিচালিত যেকোনো তদন্তে অংশ নিতে প্রস্তুত। ভারত এই হামলাকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছে এবং প্রমাণ ছাড়াই পাকিস্তানকে দায়ী করছে।’

খাজা আসিফ হুঁশিয়ার করে বলেন, ‘পাকিস্তানের ভূখণ্ডে যদি ভারতীয় হামলা হয়, তাহলে নিশ্চিতভাবে তা পূর্ণমাত্রার যুদ্ধে রূপ নেবে, যা গোটা অঞ্চলের জন্য ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনবে।’

ইত্তেফাক/এনএন