গত ২৩ বছর দাবায় চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির অর্থায়নে গড়া দল তিতাস ক্লাব। দাবায় অংশগ্রহণ করে, সেই ২০০০ সালে শেষ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। ২৩ বছর পর আবার দাবা লিগের বড় আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। নিয়াজ মোরশেদ ছিলেন এ দলের সবচেয়ে বড় তারকা। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পেছনে নিয়াজের অবদান কম নয়।
কিন্তু চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরও দেশের এই তারকা দাবাড়ু যেন খুব একটা খুশি না। তার চোখে এটি গ্ল্যামারহীন একটা লিগ হয়েছে। কোনো বিদেশি গ্র্যান্ডমাস্টার আসেনি। প্রতি বছর ভালো ভালো দল হয়। গতবারের চ্যাম্পিয়ন পুলিশ এবার দুর্বল দল নিয়ে খেলে ১০ দলের মধ্যে সবার নিচে চলে গেছে, শেখ রাসেল দল গড়েনি, বিমান দল গড়েনি। যারা দল গড়েছে বড় বাজেট রাখেনি। নামকাওয়াস্তে দাবায় দল গড়েছিল। দাবায় ভালো দল গড়লে অন্যরাও অর্থের মুখ দেখতেন। এবার নিয়াজ পেয়েছেন ৩ লাখ, ফাহাদ রহমান সাড়ে ৩ লাখ, তাহসিন আড়াই লাখ টাকা পারিশ্রমিক পেয়েছেন।
এত জৌলুশহীন দাবা লিগ দেখেননি নিয়াজ মোরশেদ। ৭৭ সাল থেকে লিগ খেলছেন তিনি। তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তিনি হতাশ। দাবায় এগুনোর বদলে পেছাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন। গ্র্যান্ডমাস্টার না এলে সেই লিগেরও কোনো মর্যাদা থাকে না, আকর্ষণ হারায়। ভারতীয় তারকা গ্র্যান্ডমাস্টার গুকেশ দোমারাজু খেলে গেছেন বাংলাদেশের দাবা লিগে। সেখানে এবার কোনো বিদেশি গ্র্যান্ডমাস্টার না আসায় বিবর্ণই লেগেছে। সবদিক থেকে পিছিয়ে গেছে দেশের দাবা।
তবে এত কিছুর মধ্যেও তিতাস ক্লাব চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় তাদের ঘরে প্রদীপ জ্বলল নতুন করে। ৯ খেলায় ১৬ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তিতাস। ১৫ লাখ টাকায় দল গড়া তিতাস ক্লাব আগামীতে বড় দল গড়ার পরিকল্পনা করছে বলে জানিয়েছেন দলের কর্মকর্তা ফিদে মাস্টার সাইফ উদ্দিন লাভলু। নিয়াজ মোরশেদ ছাড়াও তিতাসে খেলেছেন ভারতের আন্তর্জাতিক মাস্টার পানিসার বেদান্ত, ফাহাদ রহমান, তাহসিন তাজওয়ার, সাকলাইন মোস্তফা সাজিদ, সাইফ উদ্দিন ছিলেন অধিনায়ক। মানহার ক্যাসেল রানার্সআপ হয়েছে। লিওনাইন চেস ক্লাব তৃতীয় হয়। বিমান ও শেখ রাসেল প্রথম বিভাগে নেমে গেছে।