আগত কয়েক বছরে বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখেছে অসংখ্য তরুণ-তরুণী। কিন্তু তাদের অনেকের পথেই থামছিল জটিল ভিসা প্রসেস, ভর্তি ফরম পূরণ ও বাসস্থান খোঁজার দুঃসহ ঝামেলা। ঠিক সেই সময়ে হাত বাড়িয়ে এলেন তরুণ উদ্যোক্তা সাব্বিন ইসলাম সানন। মাত্র ২৪ বছর বয়সেই তার তাওয়াক্কুল মালয়েশিয়া (Tawakkul Malaysia Education Consultancy) বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের অন্যতম আস্থা হয়ে উঠেছে।
সাননের জীবনে বিদেশি শিক্ষার স্বপ্ন কখনো ছিল না; বরং গ্রামের এক ছোট পরিবেশ থেকেই বড় হওয়া এই তরুণের বাবা-মা চান অনূর্ধ্বে পড়াশোনার সুযোগ। ২০১৯ সালে নিজেই মালয়েশিয়ায় উচ্চশিক্ষার জন্য যাত্রা করেছিলেন সানন। ভর্তি ফি জমা, ভিসা দপ্তরের দীর্ঘ লাইন, এয়ার টিকেট বুকিং—সকল ঝামেলা নিজের চোখে দেখে বুঝলেন, অনেকের জন্য এই প্রক্রিয়া হতে পারে দুঃস্বপ্ন সদৃশ। সেখান থেকেই শুরু ধনী গ্রামীণ অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের খরচ ও ঝামেলা কমানোর স্বপ্ন—এবং সেই স্বপ্নের ফসল হলো তাওয়াক্কুল মালয়েশিয়া।
তাওয়াক্কুল মালয়েশিয়ার দেশে ঢাকা ও পটুয়াখালীতে দুইটি অফিস রয়েছে পাশাপাশি মূল কার্যক্রম চলছে কুয়ালালামপুর থেকে। যেখান থেকে অতিরিক্ত সার্ভিস চার্জ বাদেই বিনামূল্যে ভর্তি প্রক্রিয়া, ভিসা, এয়ার টিকেট, আবাসন ও এয়ারপোর্ট পিকআপ—এসব সেবা পেয়েছে ২০০’রও বেশি শিক্ষার্থী।
সানন বলেন, আমার লক্ষ্য গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকেও শিক্ষার্থীরা যেন বিদেশে পড়াশোনার সুযোগ পায়। তাওয়াক্কুল মালয়েশিয়া সেই স্বপ্ন বাস্তব করে তোলার একটি মাধ্যম।
প্রতিষ্ঠার প্রথম মাসেই সাননকে ভিসা আদালতের জটিল নিয়মকানুন বোঝাতে আয়োধ্যা-ঢাকা রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে যেতে হয়েছিল। এক পর্যায়ে টিম গড়ে তোলার জন্য আস্থার লোক খুঁজে পাওয়া ছিল চ্যালেঞ্জ। কিন্তু কঠোর পরিশ্রম আর এক রূপে সেবার মান লেখালেখি করতেই কাজটি এগিয়ে গিয়েছে।
সাননের দৃষ্টি আগামীতে আরও দুইদেশে—কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া—এডুকেশন এজেন্সি সম্প্রসারণের। তিনি বলেন, মালয়েশিয়া আমাদের পরীক্ষামূলক ক্রিকেটের মাঠ; কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ায় সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পৌঁছানোই পরবর্তী লক্ষ্য। গ্রাহকদের অভিজ্ঞতা আরও স্বচ্ছ ও দ্রুত করতে আমরা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করছি, যেখানে শিক্ষার্থী নিজেই খুব সহজে ভর্তি-ভিসা-ট্র্যাকিং সব দেখতে পারবেন।