সবকিছু ঠিকঠাক থাকে, থাকে না শুধু রেফারিদের পারিশ্রমিক। দেশের ফুটবল রেফারিরা তাদের পারিশ্রমিক পান না। এটা দেশের ফুটবলের জন্য লজ্জা। সবচেয়ে আর্থিক সংকটে থাকেন রেফারিরা। নিজের পকেটের টাকা খরচ করে আসেন, খেলা পরিচালনা করেন এবং বাড়ি ফিরে যাবেন। অনেকে ঢাকার বাইরে থেকে এসে খেলা পরিচালনা করেন। পারিশ্রমিকের জন্য হাত পেতে থাকতে হয়। মাঠে একজন রেফারি, সহকারী রেফারিকে সমানভাবে পরিশ্রম করতে হয়।
কিন্তু তারা দিনের পর দিন পারিশ্রমিক পান না। রেফারিরা বলছেন, 'ফেডারেশন ব্যর্থ বলেই আমরা ধর্মঘটে যেতে বাধ্য হয়েছি। গতকাল প্রিমিয়ার ফুটবল লিগের খেলা পরিচালনা নিয়ে পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে যাচ্ছিল, যা নিয়ে ক্লাবগুলোই সন্দেহের মধ্যে ছিল আদৌ খেলা হবে কি না। শেষ পর্যন্ত দফারফা করে খেলা মাঠে গড়িয়েছে। রেফারিরাই বাফুফের কথায় রাজি হয়েছে মাঠে ফিরেছে।
প্রিমিয়ার লিগের খেলা শেষের পথে। আর এসময় রেফারিরা ধর্মঘট ডেকে মাঠে না যাওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। কিছু দিন আগেই রেফারিরা বাফুফের সভাপতি তাবিথ আউয়ালের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। রেফারিরা তাদের দাবি-দাওয়াগুলো তুলে ধরেছিলেন। বকেয়া পরিশোধসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা তুলে ধরা হয়েছিল। তাবিথ শুনলেন, কিন্তু এতদিনে কোনো প্রতিকার হয়নি। শোনা পর্যন্তই শেষ। তা না হলে কেনই বা রেফারিরা ধর্মঘটে গেলেন।
রেফারিদের পরিশ্রমের টাকা কেন বার বার চাইতে হবে। ফেডারেশন তো সংকটে নেই। বাফুফের ব্যবস্থা যেন হামজা চৌধুরী, শমিত সোমকে নিয়ে। তাদের আগমনে দেশের ফুটবলে অন্যরকম হাওয়া লেগেছে। বদলে যাচ্ছে ফুটবল। নানা কথার ফুলঝুরিতে টিভির পর্দা কাঁপিয়ে দিচ্ছেন কিছু কর্মকর্তা। অথচ রেফারিরা পাচ্ছে না তাদের ন্যায্য পারিশ্রমিক। আগের ১ কোটি ২০ লাখ টাকা বাকি রয়ে গেছে বলে রেফারিরা জানান।