রোববার, ১৮ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
The Daily Ittefaq

‘সিদ্দিক আমার ছেলের ব্রেইনওয়াশ করে’, বললেন সাবেক স্ত্রী মারিয়া

আপডেট : ১০ মে ২০২৫, ২১:৩২

২০১২ সালের ২৪ মে ছোট পর্দার অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমানকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত স্পেনের নাগরিক মারিয়া মিম। এক বছর পর ২০১৩ সালের ২৫ জুন তাদের ঘর আলোকিত করে জন্ম নেয় তাদের পুত্রসন্তান আরশ। ভালোই চলছিলো তাদের সাংসারিক জীবন।

২০১৮ সালে মিম মডেলিং ও অভিনয়ে ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে সিদ্দিক তাতে রাজি হন না। এ নিয়ে সৃষ্ট হয় জটিলতা। অবশেষে ২০১৯ সালের শেষের দিকে বিচ্ছেদ হয়ে যায় দুজনের। এরপর থেকে নিজেকে ও সন্তানকে নিয়েই ব্যস্ত সময় পার করছেন মিম। কখনো বাংলাদেশ আবার কখনো স্পেনে দেখা মেলে তার। 

ডিভোর্সের পর থেকে সন্তানকে নিজের কাছেই রেখেছেন বলে জানিয়েছেন মিম। তার দাবি, সন্তানের সকল ভরণপোষণ তিনিই করছেন। বাবা হিসেবে সিদ্দিক কিছুই করেন না। 

মারিয়া মিম। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি সেলিব্রেটি ক্রিকেট লিগে অংশ নিয়ে এই মডেল বলেন, ‘ছেলেকে নিয়ে সিদ্দিক এক ধরণের পলিটিক্স করে। যখন আমার বাচ্চা তার কাছে যায়, সে অনেকগুলো ছবি তুলে রাখে। পরে সেগুলো ফেসবুকে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে আপলোড করে। যাতে মানুষ মনে করে, সন্তান ওর কাছেই থাকছে। কিন্তু তেমনটা কিন্তু না। কারণ ৬ মাসে ১ বার আরশ তার বাবার কাছে যায়। সেটাও দুই একদিনের জন্য। বাকিটা সময় কিন্তু আমার কাছেই থাকে। তবুও মানুষ মনে করে, আমি সন্তানকে রেখেই বিদেশে ঘুরে বেড়াচ্ছি।’ 

সন্তানকে বাবার কাছে বেশি থাকতে না দেওয়ার কারণ জানিয়ে মিম বলেন, ‘আমি যখন ছেলেকে তার কাছে পাঠাতাম সে ব্রেইনওয়াশ করতো। আদালত থেকে বলেছিল, কিছুদিন পরপর আরশ তার বাবার কাছে যেতে পারবে। কিন্তু সেখানে রাতে থাকতে পারবে না। বিকেল ৫ টার আগেই চলে আসতে হবে। কিন্তু আমি সেটা করতাম না। তাকে দুইদিন বাবার কাছে থাকতে দিতাম। কিন্তু দেখতাম, ছেলে সেখান থেকে আসার পরই বলছে- মাম্মি, বাবা তোমার কাছে আসতে নিষেধ করে।’

সাবেক স্বামী অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান ও পুত্র আরশের সঙ্গে মারিয়া মিম। ছবি: সংগৃহীত

এই মডেল মনে করেন, সিদ্দিক বা অভিনেতার পরিবার চায় না আরশ তার কাছে আসুক। এজন্য সন্তানের বেইনওয়াশের চেষ্টা করে। 

সবশেষ মারিয়া মিম বলেন, ‘আমিই ছেলের সবকিছু করছি। তার ভরণপোষণ থেকে শুরু করে সব। তার বাবা কিন্তু কিছুই দিচ্ছে না। দেশে-বিদেশে ঘুরে বেড়ালেও সেটা আরশকে সঙ্গে নিয়েই যাচ্ছি।’

ইত্তেফাক/এসএ