চার বছর মেয়াদী স্নাতক সম্মান ডিগ্রিধারী নার্সদের চারটি দাবির পাশাপাশি নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে রোববার (১১ মে) সংবাদ সম্মেলন করেছে শিক্ষার্থীরা। সেই সাথে দাবি আদায় ও হামলায় জড়িত শিক্ষকদের বহিষ্কারের দাবীতে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, গত ৩০ এপ্রিল থেকে দশ দিন যাবত সমগ্র বাংলাদেশের নার্সিংয়ে চার বছর মেয়াদী স্নাতক সম্মান ডিগ্রিধারী সরকারি ৩২ টি নার্সিং কলেজ এবং বেসরকারি ১৫৪ টি নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা এ আন্দোলন পরিচালনা করে আসছে। আমাদের দাবি অনুযায়ী বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি), নিজ বিশ্ববিদ্যালয় নীতিমালা-আইন অনুসরণ করে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া, নার্সিংয়ে চার বন্ধর মেয়াদী স্নাতক সম্মান ৯ম গ্রেডে সরাসরি নিয়োগের ব্যবস্থা করা এবং হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানে নার্সিং কলেজ সমূহে সংযুক্তি/ অতিরিক্ত দায়িত্ব থেকে ডিগ্রিধারী নার্সদের নিজ কর্মস্থলে ফিরিয়ে আনা। সেবা পরি দপ্তর কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা-২০১৬ অনুযায়ী ও ইন্টার্নশিপ নীতিমালা-২০২৬ অনুযায়ী সম্মান ডিগ্রিধারী নার্সদের ভাতা বিশ হাজার টাকা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা। সরকার অনুমোদিত সকল বেসরকারি নার্সিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে টিউশন ফি নির্ধারণ করা এবং হাসপাতাল, স্বাস্থ্য সেবা ও নার্সিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তা ও শিক্ষকদের জন্য মানসম্পন্ন সর্বনিম্ন বেতন ভাতা নির্ধারণ করতে হবে।
সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, সারাদেশের সকল কলেজের সাথে বরিশাল নার্সিং কলেজের পূর্বের ন্যায় কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি যথারীতি চলমান থাকবে।
তারা আরও জানান, সোমবার সকাল থেকে বেসিক বিএসসি সকল শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িত শিক্ষকদের প্রতিকৃতি সম্বলিত কুশপুত্তলিকা জ্বালিয়ে প্রতিবাদ জানানো ও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের বহিষ্কার না করলে আমরণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে বলেও জানান তারা।