সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২
The Daily Ittefaq

গরমে ভালো ঘুমের জন্য কি করবেন ?

আপডেট : ১২ মে ২০২৫, ০২:৫৭

তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে সারাদেশ। জনজীবন একদম অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেছে। কোথাও যেন একটু স্বস্তি নেই। এরই মধ্যে ঘুমাতে গেলে বারবার ঘুম ভেঙে যায়। ঘুমানোর মাঝেই যেন শরীর দিয়ে ঝরঝর করে পানি ঝরছে। কিন্তু শরীর যেন নিদ্রাহীনতার কোনো অজুহাতই মানে না! যতই গরম পড়ুক না কেন, নির্দিষ্ট মাত্রার ঘুম আমাদের লাগবেই।

তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক এই গরমে একটু স্বস্তিদায়ক ঘুমের জন্য যা করবেন।

শীতল পরিবেশ তৈরি করা
এই গরমে স্বস্তিদায়ক ঘুমের জন্য ঘর ঠান্ডা বেশ জরুরি। ঘর ঠান্ডা করার বিভিন্ন কৌশল প্রয়োগ করতে হবে। তা সে এয়ারকন্ডিশনার হোক বা এয়ার কুলার, অথবা ফ্যান। বিদ্যুৎ খরচের কথা মাথায় রেখে শীতাতপ নিয়ন্ত্রক যন্ত্রের ব্যবহার করতে হবে। ঘুমানোর কিছুক্ষণ আগে প্রয়োজন অনুযায়ী ঘরে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে।

এই গরমে ফ্রিজের ঠান্ডা পানি পান করলে কী হয়?এই গরমে ফ্রিজের ঠান্ডা পানি পান করলে কী হয়?


ফ্যানের ব্যবহার
এসি বা এয়ারকুলার সাধ্যের বাইরে হলে ফ্যানের ব্যবহারেই ঘর ঠান্ডা করতে হবে। সিলিং ফ্যানের পাশাপাশি টেবিল বা স্ট্যান্ড ফ্যান রাখলে তাপমাত্রা আরও একটু কমতে পারে। সঙ্গে যদি টেবিল বা স্ট্যান্ড ফ্যানের সামনে ভেজা কাপড় ঝুলিয়ে দেওয়া যায়, তা হলে সেটি খানিক কুলারের কাজ করবে।

পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খাওয়া
ঘর ঠান্ডার পাশাপাশি শরীর ঠান্ডা রাখাও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। গরমে প্রবল ঘামের কারণে শরীর থেকে পানি বেরিয়ে যেতে থাকে। তাই রাতে ঘুমোনোর সময়ে হাতের কাছে পানির বোতল রাখবেন। যাতে বেরিয়ে যাওয়া পানির ঘাটতি পূরণ করতে বেশি খাটতে না হয়। ঘন ঘন পানি না খেলে শরীর শুষ্ক হয়ে গিয়ে অন্য সমস্যা দেখা দেয়।

আরামদায়ক কাপড় বেছে নিন
রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময় চেষ্টা করুন হালকা কাপড় পরতে। এতে শরীরে অতিরিক্ত গরম অনুভূত হবে না, ফলে ঘামও কম তৈরি হবে। এছাড়াও বিছানার চাদর হিসেবে বেছে নিন হালকা রঙের সুতির চাদর। এ ধরনের চাদরে আলো সহজে প্রতিফলিত হয় বলে তাপ ধরে রাখে না। তাই ঘুমের সময়ও আরাম দেয়।

ঘরের আলো কমিয়ে নেওয়া
গ্রীষ্মে ঘরে যত কম সূর্যের আলো প্রবেশ করানো যায়, ততই ভালো। যে কারণে চেষ্টা করবেন দিনের শুরুতেই ঘরের পর্দা টেনে দিতে। এছাড়াও ঘুমাতে যাওয়ার আগে কিছুক্ষণ অন্ধকার ঘরে বসে থাকুন, শরীরকে অন্ধকারে রাখলে যে মেলাটোনিন উৎপন্ন হয়, তা দ্রুত ঘুম পারাতে সাহায্য করে।  

ইত্তেফাক/এমএএম

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন