সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২
The Daily Ittefaq

চাদাঁর দাবিতে সাবেক সেনা কর্মকর্তার ওপর হামলা, আটক ৩ ছাত্রদল নেতা

আপডেট : ১৩ মে ২০২৫, ১৯:৫৮

নরসিংদীর পলাশে সাবেক সেনা কর্মকর্তার ওপর হামলা ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করার ঘটনায় ছাত্রদলের তিন নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১১। সোমবার (১২ মে) রাতে কক্সবাজার থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন র‍্যাব-১১ এর কোম্পানি কমান্ডার সাদমান ইবনে আলম।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—পলাশ উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান পাপন, ঘোড়াশাল পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান এবং সদস্য সচিব আরফুল ইসলাম আরফি।

এর আগে ১০ এপ্রিল পলাশ থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী মো. মোজাম্মেল হক, যিনি অবসরপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট এবং পলাশ উপজেলার বালিয়া গ্রামের বাসিন্দা।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২ রা এপ্রিল রাত ১০টার দিকে খানপুর বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে ঘোড়াশাল সারকারখানার গেটের কাছে ছাত্রদল নেতা আমান উল্লাহ তার পথরোধ করে এবং চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সঙ্গে থাকা আরফি ও এক সহযোগী তাকে জোরপূর্বক ধরে ফেলে। এরপর আমান উল্লাহ হাতে থাকা চাইনিজ কুড়াল দিয়ে মোজাম্মেলের কপালে আঘাত করে এবং অন্যরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করে গুরুতর জখম করে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করেন।

এ বিষয়ে জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাজবি ভূঁইয়া বলেন, গ্রেপ্তার তিনজন লিখিতভাবে জেলা ছাত্রদলের কোনো কমিটিতে নেই। তারা কেউ আন্দোলনেও সংগঠনের সঙ্গে সক্রিয় ছিল না। কারও ব্যক্তিগত কর্মকাণ্ডের দায় ছাত্রদল নেবে না। যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয়, আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সমর্থন জানাই।

র‍্যাব-১১ এর কোম্পানি কমান্ডার সাদমান ইবনে আলম বলেন, রাজনৈতিক পরিচয় এখানে মুখ্য নয়, তারা অপরাধী হিসেবেই গ্রেপ্তার হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর তাদের কক্সবাজার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরবর্তীতে কক্সবাজার পুলিশ তাদের পলাশ থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করবে।

ইত্তেফাক/টিএস