শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
The Daily Ittefaq

ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার দায়ে মাদ্রাসা অধ্যক্ষ গ্রেপ্তার

আপডেট : ১৯ মে ২০২৫, ২২:২০

মাদ্রাসার ছাত্রী ধর্ষণ প্রচেষ্টা মামলার এজাহাভুক্ত আসামি হাফেজ মাওলানা অধ্যক্ষ মো. জাহাঙ্গীর আলমকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে সিংগাইর থানা পুলিশ।

সোমবার (১৯ মে) সকালে থানা সদর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করার পর দুপুরের দিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

গ্রেপ্তার জাহাঙ্গীর আলম মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার সায়েস্তা ইউনিয়নের শ্যামনগরের মৃত কফিল উদ্দিনের ছেলে। তিনি ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর হযরত ফাতেমা মুহাম্মদ (সা.) বালিকা মাদ্রাসা ও এতিমখানার অধ্যক্ষ এবং খেলাফত মজলিসের সিংগাইর থানা (পূর্ব) শাখার সাধারণ সম্পাদক।

গত মঙ্গলবার রাত ৮টায় দিকে ঘটনাটি ঘটলেও বিষয়টি জানার পর রোববার রাতে ওই শিক্ষার্থীর বাবা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে এ মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম হযরত ফাতেমা বিনতে মুহাম্মদ (স.) বালিকা মাদরাসা ও এতিমখানার পরিচালক এবং মাদ্রাসার বড় হুজুর। ভুক্তভোগী ছাত্রী (১০) ওয়ান ক্লাসের শিক্ষার্থী হিসেবে ঐ মাদ্রাসায় থেকে লেখাপড়া করে।

ঘটনার রাতে ছাত্রীকে সিঁড়ির কাছে একা পেয়ে মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম তার চোখ-মুখ বেঁধে মাদ্রাসার ২য় তলা বিল্ডিং এর নিচ তলার অফিস রুমের পাশের একটি রুমে নিয়ে যায়। এরপর মেয়েটির শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয় এবং ধর্ষণের চেষ্টা করে। বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে। পরে মেয়েটি বাবা-মায়ের কাছে ঘটনাটি খুলে বলে।

আরেক শিক্ষার্থীর মা জানান, হুজুরের কাছে আমরা মেয়েকে দেই দ্বীনের শিক্ষা নিতে, সেই হুজুর ছোট একটা মেয়েকে কীভাবে এ কাজ করতে পারে? আমরা তার  শাস্তি দাবি করি।

অভিযুক্ত মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি তাকে টাচও করিনি। ঘটনাটি সম্পূর্ণ মিথ্যে।

সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জেওএম তৌফিক আজম বলেন, গ্রেপ্তারকৃত জাহাঙ্গীর আলম একজন হাফেজ মাওলানা এবং খেলাফত মজলিসের সিংগাইর থানা (পূর্ব) শাখার সাধারণ সম্পাদক।

তিনি আরও বলেন, ইতোপূর্বে এই মাওলানা আরও ঘটনা ঘটিয়েছে বলে তারা জানতে পেরেছেন। এবারও বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য টাকার বিনিময়ে একটা চক্র কাজ করেছিল। কিন্তু পুলিশ তা করতে দেয়নি।

ইত্তেফাক/এমএএস